fbpx

বিবিএস ক্যাবলসকে সব দায় থেকে মুক্ত করলো বিএসইসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করাসহ সকল অভিযোগ থেকে মুক্ত হলো বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড। কোম্পানির পক্ষ থেকে জরিমানা মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘নতুন হওয়ার কারণে সিকিউরিটিজ আইন নিয়ে আমাদের ধারণা পরিস্কার ছিল না এবং জ্ঞানের পরিধিও কম ছিল। ফলে শুরুতেই সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনগত বিষয়াবলী প্রতিপালনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।’

বিএসইসির অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘মূলত আমাদেরকে জরিমানা করা হয় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু সেটি আসলে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিল না। বিষয়টি আমরা বিএসইসিকে অবহিত করেছি এবং একইসঙ্গে ব্যাখ্যাও প্রদান করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করে বিএসইসি।’

‘এছাড়া ভিন্ন আরেকটি অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যান্যদের উপর আরোপিত জরিমানার বিষয়টিও সমাধান করা গেছে। এখন আর কোন অমীমাংসিত বিষয় নেই। ফলে, বিএসইসির সকল দায় থেকে মুক্ত হলো বিবিএস ক্যাবলস’ এমনটাই জানালেন বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

বিএসইসির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘বিএসইসি আমাদের বিষয়গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে সমাধান করে দিয়েছে। ফলে এর সাথে সম্পৃক্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

আগামীতে কোম্পানিটি সুনামের সাথে তার সফলতার ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শেয়ারবাজারেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান।

প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার আরও বলেন, ‘বিবিএস ক্যাবলস তালিকাভুক্তির পর থেকেই ভালো প্রতিবেদনের জন্য পরপর তিন বছর সিলভার, ব্রোঞ্জ এবং সিলভার কর্পোরেট গভার্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে, ইনশা আল্লাহ।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘ক্যাবল খাতে ব্যাপক সুনাম অর্জন করা বিবিএস ক্যাবলস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগ থেকেই ভালো ব্যবসা করে আসছে। তালিকাভুক্তির পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশও দিয়ে আসছে কোম্পানিটি।’

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এই অর্থবছরে সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই ২০২০-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

লভ্যাংশের ইতিহাস: ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে বিবিএস ক্যাবলস। তালিকাভুক্তির বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৯ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ২০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে যথাক্রমে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply