fbpx

বিবেচনায় মানসিক স্বাস্থ্য, যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরিত হচ্ছেন না অ্যাসাঞ্জ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে বন্দি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে না। তাঁর মানসিক অবস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করা হলে তাঁর ‘আত্মহত্যা করার’ ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে বিচারক সোমবার ৪ ডিসেম্বর এই রায় দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

অ্যাসাঞ্জের নিজের ক্ষতি করা এবং আত্মহত্যা করার চিন্তার আলামত তুলে ধরে লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতের ডিস্ট্রিক্ট জাজ ভ্যানেসা ব্যার‌্যাজার রায়ে বলেছেন, ‘এসব কিছুই বিষন্নতায় ভোগা এবং কখনও কখনও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত একজন মানুষেরই লক্ষণ।’

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েক লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। এসব নথির মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধ সম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরো ৪০ হাজার নথি ছিল। যার কারণে তিনি কোপানলে পড়েন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনের।

যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচর আইন লঙ্ঘন ও সরকারি কম্পিউটারে হ্যাকিংসহ ১৮টি অভিযোগ এনেছে। দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে কয়েক দশক কারাগারে কাটাতে হতে পারে।

অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই তাকে হস্তান্তরের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। তবে অ্যাসাঞ্জ এর বিরুদ্ধে লন্ডনের আদালতে আইনি লড়াই করেন। এ মামলাকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কৌসুলিরা বলছেন, অ্যাসাঞ্জ গোপন নথি ফাঁস করে অনেকের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। সেকারণেই যুক্তরাষ্ট্র তাঁর হস্তান্তর চাইছে।

৪৯ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারাগারে তাঁকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছে।

অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আত্মগোপনে যাওয়ার পর জামিনের শর্ত ভঙ্গের জন্য ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁকে ৫০ সপ্তাহের জেল দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ২০১২ সাল থেকে ৭ বছর দূতাবাসেই লুকিয়ে ছিলেন। পালিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার সময় তিনি যৌন নিপীড়নের মামলায় সুইডেনে হস্তান্তরের মুখে ছিলেন। পরে সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply