নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়।
নাগরিকদের চিঠির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা হয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এগুলোর কোনোটার ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না। এরকম একটা বিষয় উপস্থাপন করা সুধীজনদের জন্য বিবেচনাপ্রসূত নয়।’
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ইসি শাহাদাত সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে যে বিষয়টা পীড়াদায়ক তা হলো, উনারা আমাদের অভিযুক্তও করে ফেললেন। একসঙ্গে, উনারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন, আবার আমাদেরকেও অভিযুক্ত করে ফেললেন। শুধু সেটা নয়, আমাদের করণীয় কী, দণ্ড- সেটাও এক অর্থে দিয়ে দিলেন!’
সবশেষে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ সবই তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া, কমিশনের প্রতিক্রিয়া নয়।’
তবে, তাঁর এ বক্তব্য থেকে বিশিষ্ট নাগরিক ও দেশবাসী বার্তা পাবেন বলে আশা করেন তিনি।
ইসির প্রাক্তন আইনজীবী যিনি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, এই ৪২ জন নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই চিঠি পাঠান। চিঠিতে সাংবিধানিক এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।