অবতরণের অনুমতি না পাওয়ায় ও যাত্রী কম হওয়ার কারণে বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনই ১০টির মধ্যে বিমান বাংলাদেশের ৪টি সহ মোট ৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে এয়ারপোর্টে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালি কর্মীরা।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অবতরণের অনুমতি না পাওয়ার কারণে সৌদি আরবে এবং যাত্রী কম থাকায় দুবাইয়ের ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে হয়েছে। তবে, সৌদি আরবে বিশেষ ফ্লাইট অবতরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে আজ সন্ধ্যায়ই জেদ্দার উদ্দেশে ফ্লাইটটি ছেড়ে যেতে পারবে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ২০১ জন যাত্রীকে এরইমধ্যে বিমানবন্দর থেকে বাসে করে হোটেলে নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগ আরো জানায়, আগামীকাল রবিবার আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে বিমানের ৫টি ফ্লাইট আছে। সেগুলো সময়মতো ছেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছে তারা।
এদিকে রেমিটেন্স যোদ্ধারা জানান, তারা এখন ভবিষ্যত নিয়ে ভুগছে দুঃশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তায়। কারণ এদের মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষ এবং কারো কারো চাকরিও হুমকির মুখে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী কর্মীদের জন্য পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানানো হয়। আর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একইদিন মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ বিমান ও পর্যটনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এদিকে, ফ্লাইট বাতিল করার প্রতিবাদে আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রবাসী বাঙালিরা বিক্ষোভ ও শ্লোগান করে সড়ক দখল করে রেখেছেন।