fbpx

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের, স্কটল্যান্ডের সাথে হেরেছে ছয় রানে। মাঠে নামার আগে মুস্তাফিজ-সাকিবদের মুখের হাসিটা শেষ অব্দি ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। অথচ, গল্পটা হতে পারতো অন্যরকমও। সাকিব-মাহেদির ঘূর্ণিতে ৫৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো স্কটল্যান্ড। সেখান থেকে ক্রিস গ্রিভসের ব্যাটে ভর করে স্কটিশদের সংগ্রহটা দাঁড়ায় ১৪০! ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানেই থামে টাইগারদের ইনিংস; পরাজয় ছয় রানে।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বাংলাদেশ। বল হাতে নিশ্চয়ই কোনো স্পিনারকেই খুঁজছিলো দু’ চোখ? গত কয়েকটা ম্যাচে যে হয়ে এসেছে এমনটাই। কিন্তু, আজ টানা ছয় ওভার বল করলেন পেসাররাই; তাসকিন আহমেদ শুরু থেকেই চাপে রাখলেন স্কটল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের। মুস্তাফিজুর রহমানকে বোধহয় কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিল স্কটিশরা। কিন্তু, কে কি পরিকল্পনা করলো তাতে সাইফউদ্দিনের কি! দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন স্কটিশ অধিনায়ক কাইল কোয়েতজারকে।

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের

নিজের প্রথম ওভারেই সাইফউদ্দিন তুলে নিয়েছেন উইকেট।

পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই বল হাতে সাকিব আল হাসান, অপর প্রান্ত থেকে শেখ মাহেদি। দুজনে মিলে করলেন টানা ছয় ওভার। সাকিব-মাহেদির ঐ ছয় ওভারেই মূলত ব্যাকফুটে স্কটল্যান্ড; দুজনে মিলে ১৬ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট! মাহেদির তিনটি, সাকিবের দুইটি। সেইসাথে সাকিব গড়েছেন অনন্য এক রেকর্ডও। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার সবার ওপরে।

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাকিব।

সাকিব রেকর্ড গড়েছেন আরো একটা; আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পূর্ণ করেছেন নিজের ৬০০ উইকেট। ক্রিকেট ইতিহাসে এই অর্জন ২২ জনের থাকলেও একটা জায়গায় সাকিব শুধু একাই। ১০,০০০ রানের সাথে ৬০০ উইকেট যে ক্রিকেট ইতিহাসেই নেই আর কারোর। সাকিব তার চার ওভারের বোলিং স্পেলটা শেষ করেছেন ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে; মাহেদির ৩ উইকেট এসেছে ১৯ রানে।

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের

মাহেদির বলে বোল্ড জর্জ মুন্সি।

দুই স্পিনারের বোলিং শেষ হতেই ঘুড়ে দাড়ায় স্কটল্যান্ড; ৫৩ রানেই ৬ উইকেট হারানো স্কটল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৯ উইকেটে ১৪০ রান! সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ক্রিস গ্রিভস করেছেন ২৮ বলে ৪৫; মার্ক ওয়াটকে (২২) সাথে নিয়ে গড়েছেন ৫১ রানের জুঁটি। শেষ পাঁচ ওভারে স্কটল্যান্ড করেছে ৪৮ রান;  ইনিংসের শেষ ওভারে টানা দুই বলে মুস্তাফিজ দুইটি উইকেট না নিতে পারলে রানটা হতে পারতো আরো বেশি। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে মুস্তাফিজের সংগ্রহ ২ উইকেট।

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের

শুরুতেই ফিরেছেন সৌম্য।

১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ছন্দপতন টাইগারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জস ডেভিকে ডিপ মিডউইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে সৌম্য সরকার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে লিটন দাসের সাথে একটা জুঁটি গড়ার চেষ্টায় সাকিব; কিন্তু চতুর্থ ওভারে ব্রাড হুয়েলের বলটাকে এগিয়ে এসে মিড অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে সার্কেলের ভেতরে দাড়ানো মুন্সির তালুবন্দি হয়ে ড্রেসিং রুমের পথে লিটন। পাওয়ারপ্লের ছয় ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৫। দুই ওপেনারই ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৫ রানেই; শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় সাকিব-মুশফিক।

বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট টাইগারদের

শুরুর বিপর্যয়টা সামলেছেন দু’জনে।

দুজনে মিলে শুরুর বিপর্যয় কাঁটানোর চেষ্টাটা ভালোই করেছেন; তৃতীয় উইকেট জুঁটিতে যোগ করেছেন ৪৭ রান। সাকিব-মুশফিকে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন যখন দেখা শুরু করেছে ভক্ত-সমর্থকেরা, তখনই প্যাভিলিয়নের পথে সাকিব। প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসা ক্রিস গ্রিভসকে লেগে সজোরে ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারী লাইনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে করেছেন ২৮ বলে ২০ রান। এক ওভার না পেরোতেই সতীর্থের পথ ধরেছেন মুশফিকও; অভিষিক্ত গ্রিভসকে স্কুপ করতে গিয়ে বল্ড হওয়ার আগে করেছেন ৩৬ বলে ৩৮ রান।

এরপর আফিফকে সাথে নিয়ে রিয়াদ প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও জয়টা ছিনিয়ে নিতে পারেনি কেউই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য টাইগারদের যখন প্রয়োজন ২৪ রান, তখন শেষ ওভারে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছিলেন মাহেদি-সাইফউদ্দিন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জয়টা আসেনি টাইগারদের; হেরেছে ছয় রানে। ২৪ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন হুয়েল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply