fbpx

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। একদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ, অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক কোম্পানি সৌদি অ্যারামকো তেলের উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দেওয়ায় দাম কমছে তেলের।

বৃটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ১৪ ডলার বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৭ দশমিক ০১ ডলার। এর আগে শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর প্রতি ব্যারেল এখন ৯১ দশমিক ০৩ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ০৬ ডলার বা ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। শুক্রবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে।

চীন সরকারের প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী অপ্রত্যাশিতভাবে গত জুলাইয়ে চীনের অর্থনীতির গতি কমেছিল। অপর দিকে চীনের দৈনিক পরিশোধিত তেল উৎপাদন কমে হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর চীনের অর্থনীতির গতি ও পরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন এতটা কমেনি।

মুডিস অ্যানালিটিকস নামের একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ হেরোন লিন বলেছেন, ‘চীন সরকারের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জ্বালানি তেলের দামের রেকর্ড হওয়ার কারণে চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রভাব এবং ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছরের বাকিটা সময়জুড়ে তেলের চাহিদা কম থাকবে। কোভিড বিধিনিষেধে আগাম সতর্কতার কারণে সঞ্চয়ের সঙ্গে তেলের চাহিদাও কমেছে।’

এদিকে সৌদি অ্যারামকোও তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত এই তেল কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের রোববার সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি সরকার অনুরোধ করলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ উৎপাদন সক্ষমতা ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আমিন নাসের আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করার সক্ষমতা রাখি। যদি সৌদি সরকার বা আমাদের জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে তেলের উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়, তাহলে আমরা দৈনিক সর্বোচ্চ পরিমাণ তেল উৎপাদনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান যদি ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনর্বহাল করে, তাহলে বাজারে আরও তেল আসবে। কারণ ওয়াশিংটন ও তেহরানের ওই চুক্তি পুনর্বহাল হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply