fbpx

বিশ্ববাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আন্তর্জাতিক বাজারে জুন থেকে দাম কমেছে জ্বালানি, কৃষি, খাদ্য, শিল্পের কাঁচামাল, ধাতব পণ্যসহ প্রায় সব খাতের। পণ্যমূল্যের ওপর করা বিশ্বব্যাংকের মাসভিত্তিক একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে গত এক বছর আগের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম এখনও অনেক বেশি। যার ফলে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখনও উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতি বহাল রয়েছে। এক বছর আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল টনপ্রতি গড়ে ৭৩ ডলার। চালের দাম ছিল ৪০০ ডলারের নিচে। সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ ডলারের বেশি।

এদিকে বিশ্বব্যাংকের নিরাপত্তা নিয়ে করা আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি দেশে এখন উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতি রয়েছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে এ হার ৯৩ শতাংশ। উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতির কারণে লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে আগের মাসের চেয়ে জ্বালানির দাম গড়ে কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম জুনে ছিল ব্যারেলপ্রতি গড়ে ১২০ ডলার। জুলাইয়ে তা ১০৯ ডলারে নামে।

খাদ্যপণ্যের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১২ শতাংশ। আর পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩০ শতাংশ। সয়াবিন তেল ১ হাজার ৭৫২ থেকে নেমেছে ১ হাজার ৫৩৩ ডলারে।

এদিকে ভোজ্যতেল রিফাইনারি কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম সম্প্রতি ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ট্যারিফ কমিশন তা পর্যালোচনা করছে।

বিশ্ববাজারে আগের মাসের তুলনায় চিনির দাম কমেছে ৪ শতাংশ। চালের দাম কমেছে ৬ শতাংশ। ইউরিয়া সারের দাম কমেছে ১৩ শতাংশ। তুলার দাম কমেছে ১৫ শতাংশ। জুলাইয়ে সার্বিকভাবে কৃষিপণ্যের দাম কমেছে ৭ শতাংশ। শিল্পের কাঁচামালে গড় দাম কমেছে ৬ শতাংশের মতো। বিভিন্ন ধরনের ধাতব পণ্য, যেমন- নিকেল, কপার, আয়রনের দাম কমেছে ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ। স্বর্ণসহ মূল্যবান ধাতব পণ্যের দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।

এছাড়া বিশ্বব্যাংকের ‘ফুড সিকিউরিটি আপডেট’ নামে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পতিত হয়েছে। বিশ্বে ক্ষুধা ও অপুষ্টি বেড়েছে। খাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের ওপর পড়েছে বেশি। কেননা এসব দেশের বেশিরভাগ মানুষের আয়ের একটি বড় অংশ খাদ্যের পেছনে খরচ করতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ তাদের খাদ্য-বাণিজ্য সম্পর্কিত নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। গত ১১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ২৩ দেশ ৩৩টি খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করেছে। অন্তত সাত দেশ ১১টি পণ্যের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এসব নীতি বিশ্বে বর্তমান খাদ্য সংকটের অন্যতম কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) গত জুন নাগাদ বিশ্বের ৮২ দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply