fbpx

বিশ্বে ওমিক্রনে এখনো কোন মৃত্যুর রিপোর্ট পাওয়া যায়নি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ইতোমধ্যে বিশ্বের ৩৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে এতে এখনো পর্যন্ত কারও মৃত্যু খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।গতকাল ৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) তারা এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ এর বিস্তার রোধে তৎপর হয়ে উঠেছে।

এদিকে ওমিক্রন সংক্রমনে দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

তবে ওমিক্রন নামের এই নতুন ভ্যরিয়েন্টটি কতোট শক্তিশালী তা নিরুপনে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি গুরুতর অসুস্থতার কারণ কি-না এবং এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন রয়েছে সেটি যাচাই করে দেখা হবে।

ডব্লিউএইচও’র জরুরি পরিচালক মাইকেল রায়ান এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা এর ফলাফল পেতে যাচ্ছি, যা প্রত্যেকেরই জানা উচিত।’

এছাড়া গতকাল ডব্লিউএইচও বলেছে, এখনো ওমিক্রন সম্পর্কিত মৃত্যুর কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে আগামী কয়েক মাসে এর সংক্রমণ ইউরোপে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যার অর্ধেক ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তবে ডেল্টা ধরনের মতোই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিকে ধীর করে দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা। আর এভাবে চলতে থাকলে পুনরুদ্ধারের গতি কিছুটা হারাবে বলেও জানান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকদের প্রাথমিক সমীক্ষায় বলা হয়, সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম গত ২৪ নভেম্বর শনাক্ত করা হয়। এতে বলা হয়-ডেল্টা ও বিটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন স্ট্রেনের পুনঃসংক্রমণের সম্ভাবনা তিন গুণ বেশী।

রেডক্রসের প্রধান ফ্রান্সেসকা রোকা বলেছেন, ভ্যাকসিনের অসম বন্টনের কারনে বিপদের ‘চূড়ান্ত প্রমাণ’ হচ্ছে ওমিক্রনের উত্থান।

তথ্য বাসস…

Advertisement
Share.

Leave A Reply