fbpx

বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষার বিস্তার বাড়াতে বেশি বেশি অনুবাদ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। এর ফলে আমাদের ওপর বাড়তি দায়িত্ব এসে গেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষার বিস্তার বাড়াতে হবে। এর জন্য আরও বেশি করে অনুবাদ করতে হবে। এখন বছরে একটা দুইটা এই অনুবাদ হয়। এটা বাড়াতে হবে। মানসম্মত ইংরেজিতে, বিভিন্ন ভাষায় এই অনুবাদ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উদ্বোধনের সময় তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন কেউ বই পড়তে চায় না। তাই হাঁটতে-চলতেও যাতে শুনতে পারে এমন অডিও বই করা উচিত, ডিজিটাল ভার্শন করা উচিত। অনলাইনে লাইব্রেরির সুবিধা নেওয়া যেতে পারে।

অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বেলা ৩টায় শুরু হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও শেখ হাসিনার ছোটো বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এরপর ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকদিন বইমেলায় আসতে পারিনি। স্কুলজীবন থেকে প্রতিবার বইমেলায় আসতাম। সারাদিন ঘুরঘুর করতাম। এখন তো (প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর) অনেক বিধিনিষেধ। দুই বছর তো সরাসরি আসতেও পারিনি। আজ দীর্ঘদিন পর এসে খুব ভালো লাগছে।

বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষার বিস্তার বাড়াতে বেশি বেশি অনুবাদ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আসরের আজানের জন্য বক্তব্যের মাঝখানে বিরতি নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাহিত্য মেলার আয়োজন করেন। জেলায় উপজেলায় বইমেলার আয়োজন করতে পারেন। তরুণদের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা এবং খেলাধুলায় আগ্রহী করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি যতবার ভাষণ দিয়েছি জাতিসংঘে, বাংলায় ভাষণ দিয়েছি।

তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, অনেক দেশেই বইমেলা হয়। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকেও যদি অংশগ্রহণ থাকে। আমাদের ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে যত বেশি মানুষ জানতে পারবে তত ভালো। আদালতে বাংলায় রায় দেওয়া শুরু হয়েছে। সবক্ষেত্রে আমাদের এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এই সময়ে অর্থনীতিতে, সাহিত্য চর্চায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, শিশুসাহিত্যটা আরও বেশি দরকার। আকর্ষণীয় বই দরকার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply