fbpx

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্ব সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অবদান রাখতে চায় বলে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধান মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমাদের দেশের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদয় সমর্থনকে আমরা বিনীতভাবে স্বীকার করি। আমরা এখন আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অবদান রাখতে চাই। ইউনেস্কো সদর দফতরের ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাষণে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন দেশনেত্রী ।

এসময় তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগের ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সম্মিলিত লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী নাম ঘোষণা করেন এবং পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত বিশ্ব মানবতা ও শান্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রতি সবচেয়ে উপযুক্ত সম্মান বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

শেখ হাসিনা পুরস্কার বিজয়ীর প্রশংসা করে বলেন, ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি পুরস্কার পাওয়ায় আমি এমওটিআইভি ক্রিয়েটিভ লিমিটেডকে (উগান্ডা) অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার যা বৈশ্বিক অগ্রাধিকার অর্থাৎ লিঙ্গ সমতা এবং গোষ্ঠী হিসেবে যুবকদের অগ্রাধিকারে অবদান রেখে সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এমওটিআইভিকে ৫৯টি মনোনীত প্রার্থী থেকে এই পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়। ক্রিয়েটিভ ইকোনমিতে যুব উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ এমওটিআইভিকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টিও আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সম্মরণ করছি। ২০১৭ সালের ৩০-এ অক্টোবর ইউনেস্কো জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ -এ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এ বছর আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। একইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমার জীবন উৎসর্গ করেছি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply