fbpx

বেলা ১২ টায় অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২ টায় ঘোষণা করা হবে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। সংবাদমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিরা হলেন, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ এবং ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী।

আসামিদের মধ্যে ফারাবী ছাড়া বাকি সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য। জিয়া ও আকরাম পলাতক আছেন, বাকি সবাই কারাগারে।

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বেলা ১২ টায় অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়

দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আলোচিত এই অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা। ছবি : ফেসবুক

২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। অভিযোগের পক্ষে ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ওই বছর ১ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার ছয় আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা রাষ্ট্রপক্ষের ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর কারাগারে থাকা চার আসামি গত ২৭ জানুয়ারি আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেন। পরদিন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।

উল্লেখ্য, মুক্তমনা ব্লগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় নিয়মিত বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখিতে যুক্ত ছিলেন। উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল জঙ্গিবাদীরা।

২০১৫ সালের একুশের বইমেলায় দুটি বই প্রকাশ হয় অভিজিতের, সে কারণেই স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে আসেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলায় এক অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হন তারা। মারাত্মক আহত বন্যা প্রাণে বাঁচলেও। বাঁচানো যায়নি অভিজিৎকে।

বেলা ১২ টায় অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়

সহযোদ্ধা যুগল অভিজিৎ রায় ও রাফিদা আহমেদ বন্যা। ছবি : ফেসবুক

Advertisement
Share.

Leave A Reply