সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে যে মূল্য লেখা আছে, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
রবিবার (৮ মে) দুপুরে খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৮ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৪৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে সয়াবিন তেলের বোতলের লেবেলে দাম পরিবর্তন করে বিক্রির খবর পাওয়া যায়।
সভায় মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘একশ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এছাড়া বাজারে পুরোনো দামে কেনা সয়াবিন তেলের বোতলের লেবেলে দাম পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর, কৃষি বিপণন দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সঙ্গে সঙ্গে বাজার নিয়মিত মনিটর করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় সিনিয়র জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জী জানান, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারিভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণসহ নানা ইস্যুতেও আলোচনা হয়।