fbpx

ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিএআরসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’ ও পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হবার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে এক কর্মশালায় মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বিএআরসির গবেষণা দলের সমন্বয়ক ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় মন্ত্রী বলেন, চালের বাজার বাড়ার একমাত্র কারণ হলো সরকারের গুদামে চাল না থাকা। যার সুযোগটা নিয়েছে মিলার ও ব্যবসায়ীরা। তারা একচেটিয়া সিন্ডিকেট করে বাজারে দাম বাড়িয়েছে।

চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএআরসির গবেষণায় জানানো হয়, করোনায় খাদ্য ঘাটতির আশংকায় ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা প্রচুর চাল মজুত করেছিল। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। আর তাই মজুত প্রবনতাই চালের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে।

মিলার ও পাইকাররা বাজার পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে বলে স্বীকার করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত চাল না থাকায় বাজার এখন মিলারদের  নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সরকারের গুদামে চাল না থাকলে কোনভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, সঙ্কট মোকাবেলায় চাল আমদানির সিদ্ধান্তেও গতি আসেনি। চাল আমদানির উপর ট্যাক্স কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হলেও আমদানিকারকরা বলছে, ট্যাক্সে যে দাম পড়ে সে অনুযায়ী বাজার দরের সাথে বিক্রি করলে তাদের পোষাবে না। তাই তারা ট্যাক্স ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ভারতের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল, তাই পেঁয়াজের জন্য ভারত নির্ভরতা কমাতে পাঁচ বছরের রোডম্যাপ করা হয়েছে। এতে করে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ না হতে পারলেও এতোটা আমদানি নির্ভরতা থাকবে না।

২০২০ সালেও দেশের বাজারে চাল, আলু ও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক ছিল। এখন পর্যন্ত চালের দাম কমেনি। আর এ মূল্য বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনের জন্য বিএআরসি মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করেছে। যেখানে জানানো হয়েছে, চালের পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে একই ধরনের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে। গবেষণা কাজটি মূলত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) এবং কি ইনফরমেন্ট ইন্টারভিউ (কেআইআই) -এর মাধ্যমে প্রাথমিক ও বিভিন্ন উৎস থেকে মাধ্যমিক তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

গত বছর ২৪ ডিসেম্বর বিএআরসি আয়োজিত এক কর্মশালায় স্বতন্ত্র তিনটি খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালার সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত হল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply