এখন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে। শুধুমাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকেই এ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়। যা কার্যকর করা শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই। আইআরডি’র সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিশু দ্বারা এ আদেশ স্বাক্ষরিত হয়।
এখন থেকে কোনো বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে তাকে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে। সারাদেশে বর্তমানে ৭০টির বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে।
আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতোই ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। এই তিনটি সঞ্চয়পত্র হলো, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার কিনতে পারেন। আর যে কোনো পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এমনকি, নাবালকের পক্ষেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সঞ্চয়পত্র কেনার সুবিধা হলো, প্রতিষ্ঠান কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনবে, তার কোনো সীমা নেই। এমনকি, প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের অনুকূলেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নেওয়ার ক্ষেত্রে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে বছর হিসাবে মুনাফার হার কমে যাবে।