fbpx

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এ কী কাণ্ড!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা যে সংক্রমক এ বার্তাটি এখনও পৌঁছেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। নিদানকালেও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি আছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেখানে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে অ্যান্টিজেন টেস্ট সেন্টারের পাশেই দেওয়া হচ্ছে শিশুদের হাম-রুবেলার টিকা। এতে ঝুঁকিতে আছে হাসপাতালে টিকা নিতে আসা শিশু ও তাদের অভিভাবকরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এ কী কাণ্ড!

শিশুদের নিয়ে টিকা নিতে আসা অভিভাবকরা জানান, চুড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছবি : সংগৃহীত

সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বিবিএস বাংলা’র সূত্র জানান, হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে তাদের স্বজনরা লাইনে দাঁড়িয়ে হাম-রুবেলার টিকা নিচ্ছেন। টিকা প্রদানের স্থানটি করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহ বুথের ভেতরেই। আগে এই বুথে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হতো। সম্প্রতি করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই
অ্যান্টিজেন টেস্ট সেন্টারটির মাত্র ১০ গজের ভেতরেই গত ১২ ডিসেম্বর থেকে দেওয়া হচ্ছে শিশুদের হাম-রুবেলার টিকা।

সূত্র আরও জানায়, এই টিকাদান কেন্দ্রের ভেতরে ও পাশ দিয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা দিতে আসা রোগীরা যাতায়াত করে। ফলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে হাম-রুবেলার টিকা নিতে আসা শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতালের স্টাফ জানান, আমরা কী করতে পারি? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেখানে বলেছে, আমরা সেখানেই টিকা দিচ্ছি। আমাদের তো আর করার কিছু নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এ কী কাণ্ড!

করোনা যে সংক্রমক এ বার্তাটি এখনও পৌঁছেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। ছবি: সংগৃহীত

এই ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, ‘হাম-রুবেলার টিকার স্থান হাসপাতালের ভেতরে অন্যত্র ছিল। রোগীর চাপ থাকায় এটি বাইরে স্থাপন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই টিকা প্রদানে পরিচালনার দায়িত্ব পৌরসভার। আমাদের লোকজন শুধু সহায়তা করে। এটি এখনই অন্যত্র সরিয়ে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে।’

এ ঘটনায় স্তম্ভিত হচ্ছেন শিশুদের নিয়ে টিকা নিতে আসা অভিভাবকরা। তারা জানান, চুড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানে ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে অনেক অভিভাবক শিশুদের আর হাসপাতালে আনছেন না। এটি পুরো এলাকার শিশু স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তারা অতি দ্রুত টিকাদান সেবা অন্যত্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply