অভিজ্ঞ কূটনৈতিক এ্যান্টনি ব্লিংকেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রোববার (২২নভেম্বর) বাইডেন দলের ঘনিষ্ট এক ব্যক্তি এ তথ্য জানান। আর সোমবার (২৩ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এ কথা জানানো হয়।
৫৮ বছর বয়সী ব্লিংকেন দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে বারাক ওবামার আমলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কাজ করেছেন। একই প্রশাসনে তিনি উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন। বাইডেনও একই প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর তাই বাইডেনের দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন ব্যক্তি ব্লিংকেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলম্বিয়া আইন স্কুলের স্নাতক এবং দীর্ঘদিন ডেমোক্র্যাটদের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে যুক্ত অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাজের ধরন সম্পর্কে পরিচিত লোকজন তাঁকে ‘কূটনীতিকদের কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও তাকে কেউ কেউ ‘বৈশ্বিক জোটের রক্ষক’ হিসেবেও ডাকেন। ব্লিংকেন সুচিন্তিত মানুষ, তুলনামূলক মৃদুভাষী, তবে পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে তিনি বেশ অভিজ্ঞ।
২০১৬ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হওয়ার পর অ্যান্টনি ব্লিংকেন একটি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কিছুদিন আইনচর্চা করে ১৯৮০ দশকের শেষভাগে ডেমোক্র্যাট রাজনীতিতে যোগ দেন।
এ্যান্টনি ব্লিংকেন হোয়াইট হাউসে প্রথম পা রাখেন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের হাত ধরে। তিনি প্রথমে হোয়াইট হাউসে ‘স্পিচ রাইটার’ হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের অন্যতম জাতীয় নিরাপত্তা সহযোগী হন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করেন ব্লিংকেন।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার ব্লিংকেনকে মনোনীত করার ঘোষনা আসতে পারে। নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে দীর্ঘদিন বাইডেনের পাশে থেকে তাঁর যে অগাধ আস্থা তিনি অর্জন করেছেন তার পুরষ্কার পেতে যাচ্ছেন এ্যান্টনি ব্লিংকেন।