করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় একদিকে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসা পাসপোর্টধারী ৪শ’ বাংলাদেশীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে আশপাশের হোটেলগুলোতে রাখা হয়েছে। এবার পরিবার পরিজন ছাড়াই তাদের সেখানে ঈদ করতে হবে। তবে ঈদের দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের জন্য সেমাই, পোলাও, মাংসসহ উন্নত খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তাদের কোয়ারেন্টিনের সময় হিসেবে জেলা প্রশাসন জানায়, ১ মে এবং তার পরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের ঈদের দিন হোটেলেই থাকতে হবে। আর ৩০ এপ্রিল দেশে ফেরত আসাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে সম্ভাব্য ঈদের দিন (১৪ মে)। এখন পর্যন্ত আসা যাত্রীদের হিসাবে ঈদের দিন হোটেলেই থাকতে হচ্ছে ৩৯১ জনকে। আর ঈদের দিন ছুটি মিলছে ১০১ জনের। ঈদ একদিন আগে হলে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৩ মে) এদেরও হোটেলেই হবে ঈদ।
তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত গত ১৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে দুই হাজার ৬৯৯ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। তাদের মধ্যে যশোর জেলায় অবস্থান করছেন এক হাজার ১৮১ জন। আর যশোর শহরের বিভিন্ন হোটেলে ৪৬৭, বেনাপোলে হোটেলে ৪৩৮, গাজীরদরগায় ১৪০, যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১০১, অন্যান্য ক্লিনিকে তিন ও যশোর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটে পজিটিভ ১৩ জনসহ ৩২ জনকে রাখা হয়েছে। ভারতফেরত রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য যশোর জেলায় ২৯টি হোটেল রিক্যুইজিশন করেছে জেলা প্রশাসন।
শুধু মাত্র কোয়ারেন্টিনে থাকা পাসপোর্টধারীরা নয়, কোয়ারেন্টিন বা করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা, কর্মচারীদেরও হোটেলেই ঈদ করতে হবে।