fbpx

ভারতে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার বাংলাদেশি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনা সংকট বেড়ে যাওয়ায় সেখানে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার বাংলাদেশি।

জানা গেছে, ভারতে কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বেড খালি করতে অনেক হাসপাতাল অন্য রোগীদের আগেভাগেই ডিসচার্জ করে দিচ্ছে। ফলে দেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন তারা। আবার, বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক রোগীর পক্ষে স্থলপথে ফিরে আসা সম্ভব হচ্ছে না। এই জন্য অনেকে এনওসির জন্য আবেদনও করেননি।

এনওসি‘র জন্য দিল্লিতে হাই-কমিশন ছাড়াও মুম্বাই এবং কলকাতা ডেপুটি হাই কমিশনেও এনওসি চেয়ে প্রতিদিন শত শত আবেদনপত্র জমা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন হচ্ছে কলকাতায় বাংলাদেশে ডেপুটি হাই কমিশনে।

তবে, এনওসি দেওয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তের ওপাশে কোয়ারেন্টিন সুবিধার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে অথবা যাদের আত্মীয়-স্বজন মারা যাচ্ছেন তাদের আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পর গত ১৫ দিনে কলকাতা ডেপুটি হাই-কমিশন থেকেই প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফেরার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

কলকাতার এক কর্মকর্তার বিবিসিকে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বিশেষ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া রবিবার(৯ মে) থেকে ঈদ পর্যন্ত আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার এনওসি দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ভারত থেকে যারা দেশে ফিরছেন তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে ১৮টি হোটেল বুক করা হয়েছে। এমনকি আশেপাশের জেলা শহরগুলো যেখানে হোটেলের ব্যবস্থা আছে সেখানেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত শনিবার(৮ মে) সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত থেকে ফেরা দুজনের শরীরে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যা নিয়ে সরকারের মধ্যে বেশ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বিবিসি সূত্র থেকে জানা যায়, গত ১৫ দিনে ভারত থেকে ফেরা ২৫ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। এখনও ঐ হাসপাতালে ১৭ জন ভর্তি আছেন। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখলেই তাদের এই হাসপাতালের নিয়ে আসা হচ্ছে এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply