fbpx

ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন ২ হাজার ছাড়াচ্ছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারতে টানা সাত দিন ধরেই করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন ২ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ধ্বসে পড়েছে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। খালি নেই বেড, মিলছেনা অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ।

শুধু করোনা রোগীরাই চিকিৎসা সংকটে পড়েছে তা নয়। চিকিৎসা পাচ্ছে না সাধারণ রোগীরাও।

দেশটির উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শচিন। শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি তার গর্ভবতী স্ত্রীকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে  বলা হয়, করোনা আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য হাসপালে ডাক্তারদের চিৎকার করে ডাকছেন তিনি। তবে রোগীর চাপ থাকায় কেউই ছুটে আসেননি। মারা যায় তার স্ত্রী ও আনাগত সন্তান।

বিবিসিকে তিনি বলেন ‘আমার অনাগত সন্তান ও স্ত্রীকে এক দিনই হারিয়েছি আমি। আমি জানি, এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ( স্বাস্থ্য ব্যবস্থা) আমাকে কথা বলতে হবে।’

শচিন জানান, চলমান সংকট মোকাবেলায় পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার। তিন দিন ধরে তার স্ত্রীকে নিয়ে কোভিড ও ননকোভিড হাসপাতালগুলোতে দৌড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসাতেই মারা যেতে হয়েছে তাকে।

শুধু দরিদ্র রাজ্য উত্তর প্রদেশেই নয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এমন ভঙ্গুর দশা এখন দেশটির অনেক বড় বড় শহরে।

নিশি শর্মা, জানিয়েছেন আরেক হৃদয়বিদারক মুহূর্তের কথা। অক্সিজেনের অভাবে চোখের সামনে মারা গিয়েছেন তার শ্বাশুরি বিনা।  রাজধানী দিল্লির হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটেও তার জন্য পাওয়া যায়নি ভেন্টিলেটর। বাঁচার জন্য শ্বাশুরির সেই আর্তনাদ তাকে মুষরে দেয়।

নিশি শর্মা বলেন, ‘ আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। এর জন্য দায়ী দিল্লির অব্যবস্থাপনা।’

নিশির পরিবারের এখন সবাই করোনা আক্রান্ত।  এখনও তাদের জন্য যুদ্ধই করে যাচ্ছেন তিনি।

এত হতাশার মধ্যেই আশার আলো খুঁজছেন মহারাষ্ট্রের শচিন। স্বপ্ন দেখছেন শৃঙ্খলিত এক দেশের। শচিনের প্রত্যাশা, তার  দুই সন্তান বড় হয়ে সরকারি বড় কর্তা হবে। বদলে দেবে সব অব্যবস্থাপনা।

এদিকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপাত্ত থেকে জানা গেছে, করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ লাখ ১ হাজার ১৮৭ জন মারা গেছে। তবে অনেকে ধারণা করছে, প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার। এ নিয়ে মোট সংক্রমনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ। কেবলমাত্র চলতি মাসেই দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply