fbpx

ভারত থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করবে না ব্যবসায়ীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে এখন পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। আর এর দামও ক্রেতা সাধারণের নাগালে। এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম এবং দেশিয় পেঁয়াজের দাম প্রায় সমান হওয়ায় দেশের বাজারে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা।

এজন্য আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আর আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

গত ডিসেম্বরে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে সরকার। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম এখন সমান। আর দেশিয় পেঁয়াজের স্বাদ বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ এই পেঁয়াজের প্রতি।

এমন পরিস্থিতিতে আপাতত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছেন সেখানকার আমদানিকারকরা। এছাড়া ঘোষণা ছাড়াই দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়েও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসছে না বলে জনিয়েছে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে, ‘দাম যদি দেশি পেঁয়াজের তুলনায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের বেশি হয় বা সমান হয়, তাহলে কি কারণে ক্রেতারা তা কিনবেন? যেকোনও বিচারে আমদানি করা পেয়াজের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ উত্তম।’

উল্লেখ্য, দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা না থাকায় গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। একইসঙ্গে দেশের বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়েও কোনও ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না।

বর্তমানে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানিকৃত প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। কিন্তু প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসায়ীর মুনাফা ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে তা বাজার থেকে ক্রেতা কিনছেন সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে।

আর ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। পরিবহন খরচ ও পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মুনাফা মিটিয়ে ভোক্তার কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে। তাই এ পেঁয়াজ কিনতে অনাগ্রহ ব্যবসায়ীদের। সাধারণত দেশি পেঁয়াজের দামের তুলনায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ টাকা কম না হলে ভোক্তারা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে চান না।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর। চাহিদার দিক থেকে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দেশে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই কম।’

অপরদিকে পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের দামের তুলনায় বেশি হওয়ায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে তবে আগামী মাস থেকে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম এ সম্পর্কে বলেন, ‘শুল্কারোপের ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ছে। অপরদিকে দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কম। ভারতীয় চাহিদা কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। তাই তারা পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন। ’

Advertisement
Share.

Leave A Reply