fbpx

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে সুরক্ষিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ করতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। দেশের জনগণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

পাশাপাশি বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত থেকে উত্তরণে এক অপরকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে এসব  কথা বলেন এই দুই শীর্ষ নেতা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেয়া বাণীতে বলেন, ‘দেশের জনগণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও সুরক্ষিত করতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।’

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তি, বহুত্ববাদ এবং মানুষের প্রতি মর্যাদার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর হচ্ছে। শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে। কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার, বিনিয়োগ ও পরিষেবা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারত্ব গড়ে তোলার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।’

অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে গড়ে তুলতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ একে অপরের পাশে থাকবে। প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার পাশপাশি এবং কোভিড-১৯ মহামারি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্ধশতাব্দী পেরিয়েও, আমাদের জনগণ উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে চলেছে। এ সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রদায়ের সংযোগ এবং আমাদের ভাগ করা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর নির্মিত।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিষয়টিও উঠে আসে।

তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এই ক্রীড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সামনের বছরগুলোতে আরও বিকশিত হতে দেখব, কারণ বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের চিহ্ন অব্যাহত রাখছে। বছরের শেষ দিকে আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে স্বাগত জানাতে অস্ট্রেলিয়া উন্মুখ।’

এসময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই চুক্তিটি আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করবে, চাকরিকে শক্তিশালী করবে এবং দুই দেশে ব্যবসার সুযোগ তৈরি করবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply