fbpx

‘ভাল কাজের জন্য রয়েছে পুরস্কার, তেমনি খারাপ কাজে সম্পৃক্তদের ক্ষমা নেই’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভাল কাজের যেমন পুরস্কার পাবেন, তেমনি কেউ যদি খারাপ কাজে যুক্ত হন, তাহলে তাদের ক্ষমা নেই। পেতে হবে কঠোর শাস্তি। এই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং জনপ্রশাসন পদক ২০২০-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

‘ভাল কাজের জন্য রয়েছে পুরস্কার, তেমনি খারাপ কাজে সম্পৃক্তদের ক্ষমা নেই’

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জনগণের শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আপনারা ভবিষ্যত পরিকল্পনা কীভাবে নেওয়া যায়, কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়, কীভাবে মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া যায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। যেন আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি, সেটাই আমরা চাই।’

করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে গত এক-দেড় বছরে সরকারি কর্মচারিদের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর যেসব সদস্য এবং তাঁর দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান এসময় করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ে বলেন, ‘এরইমধ্যে ভ্যাকসিন কেনা এবং দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দিতে হবে, যাতে দেশের সকলেই সুরক্ষিত থাকেন। আমি নির্দেশ দিয়েছি, সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের পরিবারই শুধু নয়, তাদের বাড়িতে যারা কাজ করেন তাদেরকেও যেন ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়। তাতে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, এর জন্য যত টাকা লাগবে, যত ভ্যাকসিন দরকার হবে, কিনবো এবং বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমরা তৈরি করবো, যাতে মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়। দেশের বয়স্ক কোনো মানুষ যেন টিকাপ্রাপ্তি থেকে বাদ না যায়।’

এ অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ৩৫ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে, ২০২০ সালের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৫টি এবং ২০২১ সালের জন্য ২০টি পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদক বিজয়ীদের মাঝে স্বর্ণ পদক, চেক, ক্রেস্ট এবং সনদ বিতরণ করেন।

‘ভাল কাজের জন্য রয়েছে পুরস্কার, তেমনি খারাপ কাজে সম্পৃক্তদের ক্ষমা নেই’

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিজয়ীদের মাঝে পদক বিতরণ করেন। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়

এছাড়া, প্রশাসনের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগের বিষয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের লেখা দু’টি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রকোপের কারণে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়নি। তাই দু’বছরের পদক আজ এই অনুষ্ঠানে একসাথে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পর্যায়ে তিন ক্যাটাগরির পুরস্কারপ্রাপ্তরা ১৮ ক্যারেট মানের এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক এবং সনদ পেয়েছেন। আর এর বাইরে জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তি শ্রেণিতে জনপ্রতি এক লাখ টাকা এবং দলগত ভূমিকার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply