fbpx

ভাষার মাসে গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ এর ৮ম পর্বের মোড়ক উন্মোচন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ প্রহর বাঙালির রক্ত দামে পাওয়া বর্ণমালার। সে লগ্নেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’-এর ৮ম পর্বের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এটি শিশু-কিশোরদের জন্য পলিসি থিঙ্ক ট্যাংক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নিয়মিত প্রকাশনার অংশ।

রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিআরআই ও ইয়াং বাংলার ফেইসবুক পেজে এক লাইভ ওয়েবিনারে এই গ্রাফিক নভেলের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শিবু কুমার শীলের সঞ্চালনায় লাইভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, লেখক ও ‘বেঁচে থাকার ৭১’ এর পরিচালক ওয়াহিদ ইবনে রেজা, গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় এবং সংগীতশিল্পী কারিশমা সানু সভ্যতা।

ভাষার মাসে গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ এর ৮ম পর্বের মোড়ক উন্মোচনগ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এর ৮ম এই পর্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রাধান্য পেয়েছে।

নভেলের শুরুতে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য উত্থাপিত বিলটি পাকিস্তান সংবিধান সভায় বাতিল করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের হয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। তমুদ্দিন মজলিশের সাথে মিলে এক সাথে গঠন করেন রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ। সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে স্বাধীন পাকিস্তানে প্রথম হরতাল পালিত হয়। হরতালের নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহনেতারা। ১৯৪৮ সালে এভাবেই সাধারণ জনগণের মাঝে রোপিত হয় ভাষা আন্দোলনের বীজ। দেশ ভাগ, মহাত্মা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ, ভাষার জন্য আন্দোলন ও কারাবরণের মত চাঞ্চল্যকর সব ঘটনা নিয়ে সাজানো হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এর ৮ম পর্ব।

এর আগে ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেলের প্রথম পর্বে খেলাধুলা, পড়াশোনা, ডাক্তারের কাছ থেকে পালানো, প্রথমবারের মতো কারাবরণের মতো বিভিন্ন কৌতূহলোদ্দীপক কাজের পাশাপাশি দেশের প্রতি তরুণ বয়স থেকেই নিজের বিশ্বাসের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিতে দেখা যায় কিশোর শেখ মুজিবকে।

দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির হাতেখড়ির পাশাপাশি তার প্রেরণা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি জানা যায়। গ্রাফিক নভেল মুজিবের তৃতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষের সময় মানবিক ভূমিকার বিষয় উঠে আসে।

চতুর্থ পর্বে এ অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ সম্মেলন শেষে তরুণ শেখ মুজিবের দিল্লির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও ১৯৪৪ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনে তার ভূমিকার বিষয়টি উঠে আসে। গ্রাফিক নভেলটির পঞ্চম পর্বে ১৯৪৫ সালে অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও শেখ মুজিবুর রহমানকে কীভাবে ছাত্রলীগের পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কালোবাজারি এবং দেশের কিছু এমএলএ ও খান বাহাদুরদের স্বার্থের টানাপড়েনের কারণে ব্রিটিশ গভর্নরের কাছে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা হয়। এ সব কিছু দারুণভাবে নাড়া দেয় তরুণ শেখ মুজিবকে।

খাজা নাজিমুদ্দিনের নানা কূটকৌশলের বিপরীতে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান নিয়ে প্রকাশিত হয় গ্রাফিক নভেল মুজিবের ষষ্ঠ পর্ব। মূলত, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গি পাড়ার অতি সাধারণ এক পরিবারে জন্ম নেওয়া এক শিশু, কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে ধীরে ধীরে কীভাবে এই বাংলার ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারক হয়ে উঠলেন– সেই গল্প প্রথমবারের মতো ছবি-গল্পে দৃশ্যমান হয় ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেলে। গ্রাফিক নভেল মুজিবের সপ্তম খণ্ডে উঠে তুলে ধরা হয় তৎকালীন দুর্ভিক্ষের চিত্র।

বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ও জাপানি ভাষায়ও পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হচ্ছে পাঠক প্রিয় এই গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply