জুমার নামাজ শেষে একদল মুসল্লি ভাস্কর্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। প্রথমে পুলিশ বাধা দিলেও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বিক্ষোভ বের করেন মুস্ললিরা ।
পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
৪ দিসেম্বর জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের একটি অংশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। আরেকটি অংশ মসজিদের সিঁড়ির ওপর অবস্থান নেয়। পুলিশ মুসল্লিদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একে একে সবাই একতত্রিত হয়ে
মিনিট পাঁচেক স্লোগান দেয় এসময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তবে আজকের কর্মসূচিতে কোনো সংগঠনের ব্যানারে না থাকলেও বিক্ষোভকারী একজন মুসল্লির হাতে ‘বাতিলের আতংক বাংলার ভাগ ফয়জুল করিম মামুনুল হক’ লেখা একটা প্লাকার্ড ছিল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জানান বিক্ষোভ করার জন্য তার এখানে এসেছেন এবং সারা দেশে ভাস্কর্য নির্মাণের প্রতিবাদে তাঁদের এই কর্মসূচি।
পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক বলেন , ‘আগে থেকে অনুমতি ছাড়া যেকোনো কর্মসূচির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এরপরও জুমার নামাজ শেষে একদল মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন। তাঁরা শাহবাগের দিকে যেতে চেয়েছেন। পুলিশ তাঁদেরকে পল্টন মোড়ে থামিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত জুমার নামাজ শেষে একদল লোক ভাস্কর্যবিরোধী কর্মসূচির নামে সহিংসতার চেষ্টা করেছিলেন। আজ তাঁরা অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কোনো কর্মসূচি করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। তাঁদের ওপর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। তাই অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বায়তুল মোকাররমের আশপাশের এলাকায় অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।
ইতোমধ্যে বায়তুল মোকাররমের এলাকারে আশপাশ ছেড়ে গেছেন অনেক মুসুল্লিরা ।