ভূমধ্যসাগর থেকে ২৬৪ জন বাংলাদেশিকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এখান থেকে মোট ২৬৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনজন মিশরের নাগরিক বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এএফপি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় তাদেরকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে ২৬৪ জন বাংলাদেশি এবং ৩ জন মিসরীয় নাগরিক। অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তাদের নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন তারা সাগরে ভাসছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
তারা আরও জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত সকল অভিবাসীদের তিউনেসীয় নেীবাহিনীর সহায়তায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বেন গুয়ের্দেন বন্দরে নেওয়া হয়। এই বন্দরটি লিবিয়া সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। সেখান থেকে তাদের আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের তিউনেসীয় জেরবা দ্বীপের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম।
তিউনিসিয়া থেকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম জানান, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ও মিসরীয়রা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির পথে রওনা হয়েছিলেন। ভূমধ্যসাগরে তাঁদের ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
তবে জেরবারের হোটেলে কোয়ারেন্টিন শেষে তাদের কোথায় নেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেও জানান মঙ্গি স্লিম।