জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাতের আঁধারে লাঠিপেটা করে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শ্রমিকদের উঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভোররাতে পুলিশ প্রথমে তাদের গায়ে পানি ছিটিয়ে এবং পরে লাঠিপেটা করে তাদের প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তুলে দেয়ার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই কামাল উদ্দীন মুন্সী এ সম্পর্কে বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আন্দোলনরত ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তবে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কে বা কারা শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে তাও তারা জানেন না বলে জানিয়েছেন।
টানা ২২ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করে আসছিলো। মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে এই আন্দোলন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একজন জানান, হঠাৎ বাঁশির শব্দ ও চিৎকারে ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কপাল ও পায়ে পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে। কেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি পুলিশ।
অপরদিকে, প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারী তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের আহত শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রায় একই ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানান, ঢাকার আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার ঘটনায় অসংখ্য শ্রমিক পুড়ে মারা যান এবং অনেকে আহত হন। আহত শ্রমিকদের সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তাজরীন গার্মেন্টসের অগ্নিকাণ্ডে আহত বেশ কিছু শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার।
আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শ্রমিকদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলেন এবং কারো সাথে কোন প্রকার দ্বন্দ্বেও জড়াননি। কিন্তু তারপরও তাদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে কোন ধরনের মিছিল-সভা-সমাবেশ করা যাবে না।