fbpx

ভোলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৫০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। সয়াবিন তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার সরকারের বিশেষ উদ্যোগে জেলায় সরিষার আবাদ বাড়িয়েছে। জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার ২০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ-সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।

জেলায় এবছর ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে ৭ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদনের প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের। তাই দেখা যায় বিভিন্ন বিস্তৃত প্রান্তর হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে।

কৃষকরা জানায়, জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়। আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। প্রথম দিকে আগাছা পরিস্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয়না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

কৃষি অফিস জানায়, জেলার মোট আবাদকৃত সরিষার জমির মধ্যে সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১২২০ হেক্টর, দৌলতখানে ৫৯০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে ৬৬০ হেক্টর, লালমোহনে ১৫৫৭ হেক্টর, তজুমদ্দিনে ১২৮০ হেক্টর, চরফ্যাশনে ২৫৬৩ ও মনপুরায় উপজেলায় ১৮০ হেক্টরসহ মোট ৮ হাজার ৫০ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর জানান, জেলায় সরিষার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কৃষককে। প্রত্যেককে এক কেজি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা রোপণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবে।

তিনি আরো জানান, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা চাষিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের কথাও জানান তিনি।

#বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply