fbpx

ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটবাসী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে সিলেটবাসী। নতুন করে তলিয়ে গেছে সিলেটের আরও ১১টি উপজেলা। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে সেখানকার কয়েক লাখ মানুষ।

মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে বেড়েছে পানি, তলিয়েছে নতুন নতুন এলাকা। স্থানীয়দের মতে, এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। পানি বৃদ্ধির আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সিলেটের বন্যা কবলিত মানুষ।

এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে ও উজানের ঢলে বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি। এতে করে সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ বেশি প্লাবিত হয়েছে। ওই সব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় সরকারি সহায়তাও পোঁছাচ্ছে না মানুষের কাছে।

এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র করা সম্ভব হয়নি যার ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বানবাসীরা।

সিলেটের কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, ৫ নম্বর বড়চতুল, পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

রাস্তাঘাট পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে যাওয়ায় লাখো বানভাসী মানুষকে উদ্ধারের জন্য সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না কেউ। এছাড়াও এসব গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছাতে নৌকাও মিলছে না। ফলে অবস্থা আরও ভয়াবহের দিকে যাচ্ছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরী কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। উপজেলায় ২৪টি আশ্রয়নকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে ৬টি ইউনিয়নে ২৪ মেট্রিক টন চাল ও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply