প্রথমবারের মতো অ্যালকোহল- মদ কেনাবেচা,পান ও পরিবহন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি স্পষ্ট করে বিধিমালা দিয়েছে সরকার।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর আওতায় সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে ‘অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ জারি করা হয়েছে।
এই বিধিমালায় বলা হয়েছে, মদ বা অ্যালকোহল বেচাকেনা বা পরিবহনে থাকতে হবে লাইসেন্স, পারমিট ও পাশ। এর ক্ষেত্রে কোন এলাকায় যদি কমপক্ষে ১০০ জন মদের পারমিটধারী থাকে তাহলে সেই এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এদিকে মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে বার বা মদের দোকান খোলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শুক্রবার, মহররম, শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে কদরসহ মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে বন্ধ রাখতে হবে বার বা মদের দোকান। এছাড়া ২১ বছরের কম বয়সের ব্যক্তি মদপানের অনুমতি পাবেন না বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিধিমালায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য চোলাইমদের মহালের সংখ্যা ও অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, চা বাগানের শ্রমিকরাও পাচ্ছেন মদ পানের সুযোগ।
বিধিমালায় লাইসেন্স ও অনুমোদনের নতুন করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ফি ১৫০ টাকা, আর সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা। ডিস্টিলারি স্থাপনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। দেশি মদপানের অনুমোদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। বিলাতি মদপানের অনুমোদন ফি তিন হাজার টাকা।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, অ্যালকোহল আমদানি ও রপ্তানি; অ্যালকোহল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, অ্যালকোহল সরবরাহ, বিপণন ও ক্রয়-বিক্রয় এবং অ্যালকোহল সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে।
অ্যালকোহল (মদ বা মদজাতীয় পানীয়) পান এবং অ্যালকোহল ব্যবহার ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে। তবে অ্যালকোহল বহন এবং অ্যালকোহল পরিবহনের ক্ষেত্রে পাস নিতে হবে।
লাইসেন্স ও অনুমোদনের মেয়াদ হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। লাইসেন্স, অনুমোদন ও পাস নেওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিধিমালায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
অ্যালকোহলের প্রতিটি বোতল, মোড়ক বা পাত্রের গায়ে ‘মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ এবং ‘আইনের বিধান ব্যতীত মদ্যপান দণ্ডনীয় অপরাধ’ লালকালিতে সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকতে হবে।
অনুমতি ছাড়া দোকান, বার বা অ্যালকোহল ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত স্থানে বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যাবে না।