fbpx

মনোবিদের কাছে যেতে হয়েছিলো ইমনকে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এমনিতেই তারকাদের নিয়ে ট্রোল নতুন কিছু না। তবে সেটা যদি সহ্যের বাইরে চলে যায়, তাহলে কতসময় আর নিজের মনকে বুঝিয়ে রাখা সম্ভব। ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী ইমনও কম বেশি ট্রোলের শিকার হন। কিন্তু ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর সেটা যেনো আরও তীব্র হয়েছিলো। আর এটার বিরুপ প্রভাব পড়েছিলো ইমনের উপর।

ইমন স্বভাবে কিছুটা একরোখা। এমন পরিস্থিতিতে আগে তিনি মাথা ঠান্ডা রেখেছেন। কিন্তু অকারণে দোষারোপ ইমন নিতে পারেননি। গত শনিবার(২২ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ডিজিটালের লাইভে গায়িকা নিজেই জানিয়েছেন সেই কঠিন সময় পার হয়ে আসার কথা।

জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে ইমনের দলের অর্কদীপ মিশ্র বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। নেটাগরিকদের একাংশ দাবি করেন, ‘ঘুষ’ দিয়ে নিজের দলের প্রতিযোগীকে জিতিয়েছেন ইমন।

এমনকি, মঞ্চে অর্কদীপের পাশে ইমনের থাকা নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন দর্শকদের একাংশ। অনুষ্ঠানে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও পিছপা হননি তারা।

সবসময় এসব বিতর্ককে এড়িয়ে গেলেও বাজে কটাক্ষের চাপে নিজেকে ঘরবন্দী করেন এই সংগীতশিল্পী।

ইমন বলেন, ‘সারেগামাপা’র ঘটনাটা ঘটে যাওয়ার পর আমি ৩-৪ দিন ঘর থেকে বাইরে যেতে পারিনি। আমি একজন মহিলা। কিন্তু অন্য মহিলারাই আমার গায়ে কাদা ছিটিয়েছিলেন। আমি ভাবছিলাম, কোনও অন্যায় না করেও কেন আমাকে এ ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে। আমার মনে হত, আমি বাইরের বেরোলেই সকলে আমাকে খারাপ চোখে দেখছে।’

অবশেষে নিজের দিকে ধেয়ে আসা একাধিক কটাক্ষ নিয়ে সোজাসুজি কথা বলেছেন এই গায়িকা।

অর্কদীপকে বিজয়ী করা ভুল সিদ্ধান্ত নয়, ইমনের এমন কথার প্রত্যুত্তরে কদর্য মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া হয় তার দিকে। সেসময় নিজেকে ঠিক রাখতে অবশেষে মনোবিদের দ্বারস্থ হন ইমন।

এই গায়িকার কথায়, ‘এই ঘটনাটি ঘটার পর আমাকে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। নেটমাধ্যমে আমার সমস্ত পোস্টের বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার রেওয়াজ, গান শোনা, বই পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’

তবে সব বাধাকে অতিক্রম করে আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আগের মতই ব্যস্ত সময় পার করছেন নিজের কাজ নিয়ে। করোনা পরিস্থিতির দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন ইমন। এমনকি, একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও কাজ করছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply