করোনা মহামারীর এই সময়ে মানুষ এমনিতেই রয়েছে ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে। তার উপর শুরু হয়েছে মশার উপদ্রব। মানুষের ভেতর আবার জেগে উঠেছে ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্ক। মশার হাত থেকে বাঁচতে আমরা বিভিন্ন উপায় খুঁজতে থাকি। আজ বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য থাকছে মশার হাত থেকে বাঁচতে ৫ ঘরোয়া টিপস।
রসুনের স্প্রে
রসুনের অনেক স্বাস্থ্যকর গুণাবলী রয়েছে তা আমরা সবাই জানি। এমনকি রসুন পোকা-মাকড় দমনেও কার্যকর। মধ্যযুগে ইউরোপীয়রা প্লেগ রোগ দমনে রসুন ব্যবহার করত। আর আমাদের প্রাচীন সভ্যতায়ও পোকা-মাকড় দমন করতে রসুনের ব্যবহার করা হতো। আপনিও মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন রসুনের স্প্রে। এই রসুনের স্প্রে খুব সহজেই বানানো যায়। তার জন্য কয়েক কোয়া রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ছেঁচে নিয়ে অল্প ১ কাপ বা ১.৫ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে দরজা, জানালা, ঘরের যেকোন জায়গায় স্প্রে করুন। আশা করি মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পারবেন।
তুলসির ব্যাবহার
সাধারণত তুলসি আমরা ঠান্ডা-কাশিতে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তুলসি মশার লার্ভা ধ্বংসে ও মশা দূর করতে অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। তাই, কয়েকটি তুলসি পাতা পানিতে ফুটিয়ে স্প্রে তৈরি করে নিতে পারেন। আর পারলে ঘরের এক কোণে তুলসি গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। কারণ, অন্য অনেক রোগের ঔষধ হিসেবেও কাজ করে এই ঔষধি গাছটি।
পুদিনার তেল
পুদিনা পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটিতে মেন্থল থাকায় তা ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে ও ঠান্ডায় আরাম দেয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, পুদিনার গন্ধ মশা দূর করে। ১টি ছোট বোতলে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল নিয়ে তাতে কয়েকটি পুদিনা পাতা বেটে সম্পূর্ণ ডুবিয়ে রাখতে হবে। ২-৩ দিন পর পাতা থেকে তেল ছেঁকে নিতে হবে। আবার চাইলে পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে গরম পানির ভাপটাও দিতে পারেন।
লবঙ্গ এবং লেবু
লেবু অর্ধেক করে কেটে বা চার খণ্ড করে তাতে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে দিন। শুধু লবঙ্গের মাথা বাহিরে থাকবে। বাকি অংশটুকু লেবুর ভেতরে থাকবে। এরপর এটি ঘরের কোণায় ও জানালার কাছে রেখে দিন। মশা দূর হবে সহজেই।
নিম তেল
অ্যালার্জি ও ইনফেকশনজনিত কারণে নিম তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। তবে মশা বা কীট-পতঙ্গ থেকে বাঁচতেও এটা কিন্তু দারুণ কাজ করে। নিম তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক মসকিউটো রিপেলেন্ট। একসাথে মশা তাড়ানো আর ত্বকের যত্ন দুই-ই হয়ে যাবে।ঘরে যদি বাজারের নিম তেল থাকে তা ব্যবহার করতে পারেন। আবার নিজেও ১ কাপ নারকেল তেলে ১/৫ কাপ পরিমাণ নিম পাতা নিয়ে তা ভালো মতো জ্বালিয়ে নিতে পারেন আর স্টোর করে রাখতে পারেন।