করোনার তাণ্ডবে ২০২০ সালের শুরু থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। তবে ভিন্নচিত্রও রয়েছে। মহামারির মধ্যেই কারি কারি অর্থের মালিক হয়েছেন অনেকে। গেল বছরই মিলিয়নেয়ারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অন্তত ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ। এই তথ্য উঠে এসেছে ক্রেডিট সুইচের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।
করোনা মহামারির কারণে যেখানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে, সেখানে এত সংখ্যক নতুন মিলিয়নেয়ার হওয়ার খবর অবাক করেছে বিশ্বকে। ক্রেডিট সুইচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল বছর কোটিপতির সংখ্যা ৫২ লাখ বেড়ে পাঁচ কোটি ৬১ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর বৈশ্বিক সম্পদের পরিমাণ ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে ।
এত সংখ্যক মানুষের মিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার বড় কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা ও বাড়িঘরের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া।
গবেষণা বলছে, চীনসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সমৃদ্ধি বেড়েই চলছে। বিকাশ হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যমিত্তদেরও।
দাবি করা হচ্ছে, ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের এক শতাংশের বেশি মিলিয়নেয়ার হয়েছে। একই সাথে বিশ্বের ধনীদের সম্পদ শুধু যে স্থবির থেকেছে তা নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সম্পদ বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও গ্লাওবাল ওয়েলথ রিপোর্টের লেখক অ্যান্থনি সরোকস বলেন ‘মহামারি বিশ্ব বাজারে সল্পমেয়াদী প্রভাব ফেলেছিল, তবে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ সেই চিত্র পাল্টে যায়।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, বিশ্বের চার কোটি দশ লাখ মানুষই এখন দুর্ভিক্ষের কবলে। এবং মহামারির করাণে এই সংকট আরও বাড়ছে।
চলমান অর্থনৈক বৈষম্য বিশ্বের কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিতে পারে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।