fbpx

মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের সুপারিশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রবিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা ও দুর্ঘটনা হ্রাসে করণীয় নির্ধারণে এক কর্মশালায় এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

তবে যেসব মহাসড়কের পাশে ‘সার্ভিস রোড’ রয়েছে ওই সব ‘সার্ভিস রোডে’ মোটরসাইকেল চলতে পারবে বলেও মত দিয়েছে বিআরটিএ।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। আরও ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

কর্মশালায় বলা হয়, গত ঈদ-উল-ফিতরে সারাদেশে যতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার অধিকাংশ ছিল মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট। এছাড়াও দেশের মহাসড়কগুলোতে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মোটরসাইকেল। বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের তথ্য পর্যালোচনা করে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেলকেই দায়ী করা হয়েছে। এ কারণেই মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিআরটিএ জানায়, ২০২১ সালের ঈদ-উল-ফিতরের সময় সারাদেশে ৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৮ জন। ঈদযাত্রার সময় প্রতিদিন গড়ে ৭ জন নিহত হয়েছে। আর সর্বশেষ চলতি বছরের ঈদ-উল-ফিতরে সারাদেশে ১০৬টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো ১৫৬ জন।

মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য একাধিক কারণ চিহ্নিত করেছে বিআরটিএ। এগুলো হলো- মহাসড়কে অসতর্ক, দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকের অননুমোদিত বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, পথচারীর অসাবধানতা, যত্রতত্র পারাপার ও পথচারীরা রাস্তা চলাচলে ডানপাশ ব্যবহার না করা, মহাসড়কে ধীর গতির যানবাহন ও নিবন্ধনবিহীন যানবাহন চলাচল, মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত আরোহী বহন, হেলমেট ব্যবহার না করা, চালকের অসচেতনতা ও ট্রাফিক আইন না মানা, সাইড রোড থেকে মূল সড়কে প্রবেশের ক্ষেত্রে মূল সড়কের গাড়িকে অগ্রাধিকার না দেয়া ও মহাসড়কে ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী না থাকা।

এছাড়া জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বেশকিছু সুপারিশও করেছে বিআরটিএ। এগুলো হলো- মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা, দ্রুত ও বেপরোয় গতিতে চলা মোটরযান এবং অননুমোদিত ওভারটেকিং করা মোটরযানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, জাতীয় মহাসড়কে হিউম্যান হলার, থ্রি-হুইলারসহ নছিমন ও করিমনের মতো বাহন চলাচল বন্ধ করা, রাস্তা পারাপারে পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, চালকদের প্রশিক্ষণ, খেলাপি ও কাজগপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান জোরালো করা এবং জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply