মাগুরার শ্রীপুর থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণি আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২০ জুলাই (বুধবার) রাত ১২ টার দিকে শ্রীপুরের সারঙ্গদিয়া গ্রামে লাবণির নানা বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন।
এবিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে নানার বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এডিসি লাবণী। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাবণীর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। তাঁর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন ভারতে চিকিৎসাধীন বলেও জানায় পুলিশ।
তবে লাবণির বাবা খন্দকার শফিকুল আজম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে লাবণি ও তার স্বামীর মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। এ কারণে তারা একে অপরকে এড়িয়ে চলছিল। এই দ্বন্দ্বের কারণেই লাবণি আত্মহত্যা করেছে। এর আগে গত ১৫ দিনের মধ্যে সে দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলেও জানান লাবণির বাবা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইনস থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় পুলিশ লাইনসে বদলি হয়ে আসেন। পুলিশের ধারণা, নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এবিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, মাহমুদুল কাজ শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তাঁর থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকেছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস হলো মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি-না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ছাড়া আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।