সারাদেশে মহাসমারোহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও, খুলছে না মানিকগঞ্জের ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বন্যার পানির কারণে জেলার যমুনা ও পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা এসব স্কুল আপাতত খোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী গণমাধ্যমকে জানান, ‘বন্যার পানি নেমে গেলে চরাঞ্চলের ওই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান শুরু করা হবে। আমরা আশা করছি, এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকার বিদ্যালয়গুলোর মাঠ থেকে পানি নেমে যাবে।‘
উল্লেখ্য, এ বছরের বর্ষা মৌসুমে পদ্মা ও যমুনায় পানি বিপদ সীমার অতিক্রম করলে দেখা দেয় ভাঙন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যার পানি বেড়ে গেলে শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পানি ঢুকে যায়। কয়েকদিন ধরে পানি কমা শুরু করলেও ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমা আছে। যা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।