স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে মামুনুলের রিমান্ড চাইবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাকে গ্রেফতারের পর, দেশে বিভিন্ন সময় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া ও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নাশকতার দায়ে মামুনুলের বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হয়েছে বলে জানায় তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ।
ডিসি হারুন জানান, ‘সম্প্রতি সারা দেশে হেফাজতের তাণ্ডবে থানা এবং সরকারি অফিসসহ অনেক কিছুই ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের মোহাম্মদপুর থানায়ও ভাঙচুরের একটি মামলা ছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করছিলাম। তদন্তের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ২০২০ সালের এক মামলার সঙ্গে সে জড়িত। এ মামলায় আমরা তাকে জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে বেলা পৌনে ১টায় গ্রেফতার করেছি। সেখান থেকে গ্রেফতার করে আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছি।’ এ ঘটনার সত্যতা মামুনুল স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ‘২০১৩ সালে মতিঝিল শাপলা চত্বরের ঘটনা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় হেফাজত। এর প্রেক্ষিতে, সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মামুনুলের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। আমাদের কাছে যে মামলাটি রয়েছে, তাতে আমরা সত্যতা পেয়েছি’।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন।