fbpx

মালয়েশিয়ায় যেতে যেভাবে নিবন্ধন করবেন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আবারও খুলেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া শুরু করছে মালয়েশিয়া।

১৩ জুন সোমবার থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল আলম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় কাজে যেতে ইচ্ছুক এবং সেদেশের চাকরিদাতা কর্তৃক বাছাই হতে হলে সকল কর্মীকে বিএমইটি’র ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে তেমন ব্যবস্থা এবার করা হয়েছে।

কীভাবে এই ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হতে নিবন্ধন করতে হবে এবার আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।

প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় আবারো বাংলাদেশে কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সোমবার থেকে আগ্রহী শ্রমিকদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

মোহাম্মদ শহিদুল আলম জানিয়েছেন, দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় বিএমইটি’র ৪২ টি কার্যালয় এবং ১১ টি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মোবাইল নম্বর, যদি ইমেইল থাকে তাহলে সেটি, যদি কোন দক্ষতা সনদ থাকে সেটি নিয়ে যেতে হবে।

কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করলে আঙুলের ছাপ নেয়া হবে। এসব কেন্দ্রের কর্মীরা আগ্রহী শ্রমিকদের তথ্য নিবন্ধন পোর্টালে সংযুক্ত করে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন।

এছাড়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যাবে।

অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করলে ২০০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সার্ভিস চার্জ হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।

দক্ষতা সনদ ছাড়াও ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যে কেউ নিবন্ধন করতে পারবেন।

দুই বছরের জন্য নিবন্ধনের কার্যকারিতা থাকবে।এই সময়কালে আগ্রহী কর্মী নিজের সম্পর্কে তথ্য আপডেট ও এডিট করতে পারবেন।

নতুন কোন ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন করলে সেই বিষয়ক সার্টিফিকেট আপলোড করতে পারবেন।

যারা আগেই বিদেশে যাওয়ার জন্য বিএমইটিতে নিবন্ধিত রয়েছেন তাদের নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।

তবে তারাও তথ্য আপডেট করতে পারবেন। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে কর্মীর ফোন নম্বরে একটি বার্তা যাবে।

বিএমইটি থেকে রবিবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসকল কর্মীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি অথবা অন্য কোন বৈধ কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের দক্ষতার প্রশিক্ষণ রয়েছে তারা সেই প্রশিক্ষণের সনদ নিবন্ধনের সময় আপলোড করলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

গত বছর ডিসেম্বরে যখন সমঝোতা স্মারক সই হয় তখন তাতেও কিছু যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

এর মধ্যে রয়েছে নূন্যতম ইংরেজির জ্ঞান। মালয় ভাষার জ্ঞান বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

কিন্তু মালয় ভাষার জ্ঞান জানা না থাকলে তাকে অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।

মূলত কৃষি, নির্মাণ, খনি, গৃহকর্ম, বাগান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এসব খাতে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া।

কোন খাতে কাজ করতে চান কর্মীকে নিবন্ধনে তা উল্লেখ করতে হবে।নিবন্ধনে যে তথ্য থাকবে তা এজেন্সি ও মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাও দেখতে পাবেন।

একবার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে গেলে ভিসার আবেদন পাঠাবে এজেন্সি।মালয়েশিয়া থেকে নিয়োগদাতা বিমান টিকেট পাঠাবেন।

তবে বাংলাদেশ অংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার যারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত হবেন, মালয়েশিয়া সরকার যদি সেগুলো নির্বাচন করে শুধুমাত্র তারাই মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের মেডিকেল পরীক্ষা করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর বাংলাদেশি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স-সংক্রান্ত খরচ, মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ ইত্যাদি সেখানকার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply