fbpx

মিতা হকের কর্মময় জীবন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চায় নিবেদিত গুণীজন মিতা হক। জন্ম ঢাকায়, ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে। পারিবারিক ভাবেই বেড়ে উঠেছেন সাংস্কৃতিক আবহে। চাচা ওয়াহিদুল হক ও চাচি সনজীদা খাতুন দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাই তার গানের হাতেখড়িও হয়েছে পরিবার থেকেই।

১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। দীর্ঘ সাধনা আর শ্রমে এক সময় হয়ে ওঠেন দেশ বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী।

মিতা হকের কর্মময় জীবন

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। ছবি: সংগৃহীত

গুনি এই শিল্পী ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্ণার থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম।

এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে, আর ১০টি বাংলাদেশ থেকে।

দীর্ঘদিন ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনে রবীন্দ্রসংগীতের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন এই শিল্পী। গড়ে তুলেছেন ‘সুরতীর্থ’ নামের একটি গানের স্কুলও।

২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার একুশে পদক প্রদান করে এই গুণী শিল্পীকে।

মিতা হকের কর্মময় জীবন

ছবি: সংগৃহীত

মিতা হকের স্বামী ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা খালেদ খান। তিনি মারা যান ২০১৩ সালে। তাদের একমাত্র মেয়ে ফারহিন খান জয়িতা। তিনিও রবীন্দ্রসংঙ্গীত শিল্পী।

মিতা হকের কর্মময় জীবন

মিতা হকের স্বামী অভিনেতা খালেদ খান ও মেয়ে জয়িতা। ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুণী শিল্পী মিতা হক। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা শিল্পাঙ্গনে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply