fbpx

মিলেছে নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নিখোঁজের তিন দিন পর পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ। আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান ইউদো মার্গোনো ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বালি সাগরের যেখানে সাবমেরিনটি ৫৩ জন নাবিকসহ হারিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকেই সাবমেরিনটির ছয় টুকরো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে।

নৌবাহিনীর প্রধান মার্গোনো জানান, ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলো ভাসমান অবস্থায় এমন জায়গায় পাওয়া গেছে, যেখানে সমুদ্রের গভীরতা ৮৫০ মিটার। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে উদ্ধার করা কয়েকটি জিনিস হলো, লুব্রিকেন্টের একটি বোতল, টর্পেডো লঞ্চারের কিছু অংশ, ধাতব নল জাতীয় কিছু, প্রার্থনা করার চাদর ও জ্বালানীর মতো কিছু জিনিস। তাদের বিশ্বাস, এগুলো নিখোঁজ হওয়া ওই সাবমেরিনেরই অংশ। তাছাড়া, ওই সাবমেরিনের পূর্ববর্তী মিশনে থাকা কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন যে, এগুলো ওই সাবমেরিনেই ছিল।

মার্গোনো আরও জানান, সাবমেরিনে বিস্ফোরণ হয়নি। তবে তার ওপর প্রচণ্ড চাপের কারণে একটি ফাটল সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। আর ওই ফাটল দিয়েই কিছু জিনিস বের হয়ে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়ায় নিখোঁজ সাবমেরিনটি ডুবে গিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

মিলেছে নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ

কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় ৫৩ নাবিকসহ নিখোঁজ হয়। ছবি: ইন্দোনেশিয়া নৌবাহিনী

নৌবাহিনীর প্রধান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। আর এখন সেটি ডুবে গেছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলো।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সাবমেরিনটি এখনো অক্ষত থাকলে এবং এর সরঞ্জামগুলো ঠিকভাবে কাজ করলে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত তাতে অক্সিজেন থাকতে পারে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোররাতে কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি ৫৩ জন নাবিকসহ নিখোঁজ হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাবমেরিনটি বালি দ্বীপের উত্তরে একটি প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নিতে গিয়ে তা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সাবমেরিনটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি পি-৮ পসেইডন সাবমেরিন হান্টিং বিমান পাঠিয়েছে। অনুসন্ধানে সাহায্যের জন্য অস্ট্রেলিয়াও হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। ভারতও গভীর জলে উদ্ধারকারী একটি জাহাজ পাঠিয়েছে। সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়টি যুদ্ধজাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ উদ্ধারকর্মী কাজ করছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply