ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে মরিয়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। কেবল বুলেটেই সমাধান খুঁজছে ক্ষমতা দখলকারীরা। মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’র (এএপিপি) জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি সামরিকবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে চলমান জনতার বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৮৩ জন। তবে এ হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সামরিকবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সও মৃত ও আহতের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে পারেনি।
দেশটিতে সোমবার রাতে শহীদ স্মরণে রাতের কারফিউ ভেঙে হাতে মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেছে বিভিন্ন শহরের নানা বয়সী মানুষ। তরুণদের পাশাপাশি মিছিলে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য শিশু ও নারীদের উপস্থিতি। সমাবেত সবাইকে মিয়ানমারের প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠা জান্তাকে বিদায় জানানোর তিন আঙুলের স্যালুট দিতে দেখা যায়। অনেকেরই হাতে ছিল অং সান সু চির মুক্তির দাবির পোস্টার।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মদদদাতা রাষ্ট্র যে চীন সেটিও উন্মোচিত জনতার কাছে। সোমবার ইয়াঙ্গুনে চীনা বিনিয়োগের কারখানায় জনতার আগুন সে ক্ষোভই প্রকাশ করেছে।
দেশটিতে সহিংসতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘ নিন্দা প্রকাশ না করে পারেনি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিউ গুয়েতারেস বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে মিয়ানমারের প্রতি চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।