fbpx

মিয়ানমারে ৩০ জনকে হত্যার পর পোড়ানো হলো!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মিয়ানমারের সংঘাত-বিধ্বস্ত কায়া রাজ্যে নারী-শিশুসহ ৩০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত শুক্রবার সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) মোসো গ্রামের বাসিন্দা, স্থানীয় গণমাধ্যম ও সেখানকার একটি মানবাধিকার গ্রুপের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় কারেনি মানবাধিকার সংগঠন নামে একটি গ্রুপ হাপ্রুসো শহরের মো সো গ্রামের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ৩০টিরও বেশি পোড়া লাশ পাওয়ার খবর দিয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অমানবিক ও নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’

এ বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বলেছে, ওই গ্রামে বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকজন ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গুলি করে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা সাতটি গাড়িতে ছিলেন। হত্যার আগে তাদের থামার সংকেত দিলেও তারা থামেননি।

তবে, এ বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কারেনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের এক কমান্ডার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা খুব হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, সব মৃতদেহই শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের!’

উল্লেখ্য, অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি হটিয়ে এবং সু চিকে কারাবন্দী করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। তারপর থেকেই দেশটিতে প্রতিবাদ হচ্ছে এবং জান্তা বাহিনীও হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, গ্রেপ্তারের অনেক ঘটনাও সেখানে ঘটছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply