বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ যে আত্মত্যাগ করেছে, যে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার কথা নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের অবদান বাংলাদেশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের শেষদিনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং ভৌগোলিক সেতুবন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার এবং সে দেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন।‘
শেখ হাসিনা এসময় বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত-সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দুইদেশকে প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, ভেদাভেদ ভুলে আমরা দুই দেশের জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।’
দশ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শেষ দিনে প্যারেড গ্রাউন্ডে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ বাংলাদেশ, ভারত ও বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।