দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
শনিবার দিবাগত রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দিয়েছি। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার জন্য কোনো মত দিইনি। গত ৮ সেপ্টেম্বর মতামত দেওয়া হলেও তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়নি। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা দেশের বাইরে আছেন।’
এর আগে, গেল মাসে বেগম জিয়ার স্বজনরা সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী, কারাদণ্ড স্থগিত করে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়।
এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যখন কোনো ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হয়, তখন সরকার যে কোনো সময় শর্ত ছাড়াই অথবা শর্তের বিনিময়ে (দণ্ডিত ব্যক্তি গ্রহণ করে) শাস্তি কার্যকর স্থগিত করতে পারে। অথবা তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার পুরো বা যে কোনো অংশ স্থগিত করতে পারে।’
পরবর্তীতে খালেদার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তখন এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সেখানে বলা হয়, খালেদা জিয়া তার বাড়িতে চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তিনি এই সময়ের মধ্যে বিদেশে যেতে পারবেন না।