করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন। জরুরি সেবার খাত যেমন, হাসপাতাল, গণমাধ্যম, ব্যাংক, শিল্পকারখানা ছাড়া বন্ধ থাকবে সব রকমের প্রতিষ্ঠান।
লকডাউন চলাকালীন জরুরি সেবার আওতায় যারা থাকছেন, তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করেই কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তর।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের প্রথম দিনে মুভমেন্ট পাস কাদের প্রয়োজন ও কাদের প্রয়োজন নেই, এই নিয়ে পুলিশের সাথে বেশ কয়েকজন ডাক্তার, নার্স ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছেন, চলমান লকডাউনে কারা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবেন। যেমন,
১. ডাক্তার
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তাঁদের এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
এদিকে, লকডাউনে জরুরি কাজে ঘরের বাইরে যেতে মুভমেন্ট পাস পেতে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ১৫ কোটি ৯৯ লাখ ২২ হাজার ৬৫ বার নক করেছে সাধারণ মানুষ।
গত মঙ্গলবার সকালে মুভমেন্ট পাসের ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করার পর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৪৬ ঘণ্টায় প্রায় ১৬ কোটিবার নক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। প্রতি মিনিটে নক করার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৫ টি।
তবে এখন পর্যন্ত চার লাখ ৯৭৭ জন রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।