fbpx

মুস্তাফিজ খেলেন বেধড়ক মার; ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াকু সংগ্রহ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালের আশা বেঁচে থাকবে, না জিতলে শেষ’ এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই। বাঁচা-মরার এমনই ম্যাচে নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারের স্লগ ওভারের ঝড়ে বাংলাদেশকে ১৪৩ রানের টার্গেট দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ওভারেই এসেছে ১৯ রান।

টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্র্যাকটিসের সময় পাওয়া চোটের কারণে আজ একাদশে ছিলেন না নিয়মিত উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। আরো ছিলেন না নাসুম আহমেদ। একাদশে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ।

আগের ম্যাচের মতো রানপ্রসবা ছিলোনা শারজাহর পিচ। তবে, মাঠের বাউন্ডারি ছিল খুবই ছোট। সেই তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পাওয়ার হিটারদের ভালোই বেঁধে রাখে টাইগার বোলাররা। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারায় দুই ডেঞ্জারম্যান ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসের উইকেট। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজের একটি লেগসাইডে চলে যাওয়া স্লোয়ারে পুল করতে গিয়ে ৬ রানে আউট হন লুইস। পরেই মাহেদী হাসানের ডেলিভারিতে ক্রিস গেইলের উইকেট ছত্রখান।

পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ২৯ রান তোলে উইন্ডিজ। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই মাহেদী আবারো হানেন আঘাত, আউট শিমরন হেটমায়ার। এরপর রোস্টন চেজ ও কিরন পোলার্ড উইকেট না পড়তে দিলেও রান তুলতে থাকেন শম্বুকগতিতে।

ত্রয়োদশ ওভারে ঘটে অদ্ভুত কান্ড। তৃতীয় বলে রানআপের শেষ ধাপে ল্যান্ডিংয়ের সময় খারাপভাবে পিছলে পড়েন তাসকিন আহমেদ। তবে খারাপ কিছু হয়নি। পরে ফিরে গিয়ে আবার বলটি করেন পোলার্ডকে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বলটি খেলেই হুট করে ব্যাট বগলদাবা করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা ধরলেন কিরন পোলার্ড। কোন ইনজুরি ছিলোনা তাঁর, মনে হলো ‘খেলতে ইচ্ছা করছে না তাই চলে গেলাম’। পরের বলেই অবশ্য আন্দ্রে রাসেলকে দুর্দান্ত রান আউট করেন তাসকিন।

এরপর ছোট মাঠের সুবিধে নিয়ে নিকোলাস পুরানের শুরু করেন ঝড়। সাকিব আল হাসানকে মিড অনের ওপর দিয়ে পরপর দুইবলে বিশাল ছক্কা হাঁকান পুরান। এক ওভার পর ডানহাতি মাহেদীকেও জোড়া ছক্কা মারতে ছাড় দেননি। বহুদিন পর ফর্মে ফেরার আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বর লাগছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহ-অধিনায়ককে।

পুরানে ভর করে বড় রান করার স্বপ্ন দেখা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাটিতে নামান বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ১৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের বলে ডিপ কভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পুরান; খেলে যান ২২ বলে ৪০ রানের ক্যামিও। পরের বলেই আবারো শরিফুলের আঘাত, অনেক্ষণ ধরে একপ্রান্তে আঠার মতো লেগে থাকা রোস্টন চেজের লেগস্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন শরিফুল।

শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলেই আউট হন ডোয়েইন ব্রাভো। আবারো নামেন কিরন পোলার্ড।  বহুদিন পর একাদশে ফেরা জেসন হোল্ডার শেষ ওভারে ‘ফিজ’কে মারেন দুইটি ছক্কা, পোলার্ড মারেন একটি। সব মিলিয়ে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৪ ওভারে ৪৩ রান; অবশ্য নিয়েছেন দুটি উইকেটও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪২/৭ (পুরান ৪০, চেজ ৩৯, হোল্ডার ১৫; শরিফুল ২/২০, মাহেদী ২/২৭)

Advertisement
Share.

Leave A Reply