fbpx

মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ পাবে না কোনো কোম্পানি বা গ্রুপ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এখন থেকে কোনো ব্যাংক তার মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি কোনো কোম্পানি বা গ্রুপকে ঋণ দিতে পারবেন না জানিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একক গ্রাহক ও বড় ঋণের সীমার এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা আগামী ১ এপ্রিল কার্যকর হবে। এর আগেই ব্যাংকগুলোকে ঋণ ও ঋণসুবিধা উল্লিখিত সীমার মধ্যে আনতে হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে ফান্ডেড বা সরাসরি ঋণ হবে ১৫ শতাংশ। আর নন-ফান্ডেড ঋণে রপ্তানি খাতের ক্ষেত্রে ১০০ টাকার ঋণকে ৫০ টাকা ও বিদ্যুৎ খাতের ক্ষেত্রে ১০০ টাকার ঋণকে ২৫ টাকা হিসাবে গণনা করতে হবে। ২০১৩ সালের অনুমোদন হওয়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের সঙ্গে মিল রেখে নতুন করে এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতোদিন পর্যন্ত একটি গ্রুপ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলে একটি ব্যাংকের মূলধনের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ ও ঋণসুবিধা পেত। এখন পাবে ২৫ শতাংশ। ৩৫ শতাংশের হিসাব হতো সুদসহ। তবে এখন থেকে শুধু গ্রুপের মোট ঋণ গণনায় ধরা হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক তার মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি ঋণ (ফান্ডেড) কোনো গ্রুপকে দিতে পারবে না, যা বড় ঋণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। আগে সুদসহ ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ। ফলে একটি গ্রুপকে আগের চেয়ে আরও বেশি ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।

আর কোন ধরনের ব্যাংক কী পরিমাণ বড় ঋণ দিতে পারবে, তা-ও এই প্রজ্ঞাপনে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ৩ শতাংশের কম খেলাপি আছে এমন ব্যাংকগুলো তার মোট ঋণের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারবে। তবে যাদের খেলাপি ২০ শতাংশের বেশি, তাদের ঋণের ৩০ শতাংশ হবে বড় ঋণ। আর খেলাপি ঋণ ৩-৫ শতাংশ হলে বড় ঋণ হবে ৪৬ শতাংশ, ৫-১০ শতাংশ হলে বড় ঋণ হবে ৪২ শতাংশ, ১০-১৫ শতাংশ হলে বড় ঋণ হবে ৩৮ শতাংশ আর ১৫-২০ শতাংশ হলে বড় ঋণ হবে ৩৪ শতাংশ।

আর গ্রুপের সংজ্ঞাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কোনো গ্রুপে কোনো ব্যক্তির ২০-৫০ শতাংশ মালিকানা বা ভোটাধিকার থাকলে তা ওই ব্যক্তির গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। কোনো ব্যক্তি কোনো গ্রুপের পর্ষদে থাকলে বা কোম্পানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার থাকলে তা ওই ব্যক্তির গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এছাড়া দুই গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠান কী করলে এক গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত হবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্য গ্রুপের ঋণে গ্যারান্টি দিলে বা খরচের ৫০ শতাংশ বহন করলে বা অন্য গ্রুপের ঋণ ব্যবহার করলে বা শোধ করলে তা এক গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply