fbpx

মেসিতেই পার হলো প্যারিসের তরী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ম্যাচের তখন চলমান ৯১ মিনিট। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের আশরাফ হাকিমিকে ডি বক্সে ফাউল করলেন সফরকারী আরবি লাইপজিগের জোসকো গিভার্দিওল। অনেকক্ষণ ভিএআর নিরীক্ষণের পর রেফারি সিদ্ধান্ত দিলেন ‘পেনাল্টি’।

এর আগে দুটো গোল করেছিলেন তিনি, চাইলে এই পেনাল্টিটি নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে পারতেন। তবে নিঃস্বার্থভাবে সেটি ছেড়ে দিলেন গোটা ম্যাচে তাঁর পাশাপাশি দারুণ খেলা কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্য। এমবাপ্পে পেনাল্টি করে বসলেন মিস, টেলিভিশনের কোটি কোটি ভক্ত সমর্থক তখন নির্ঘাত আফসোসের সুরে বলে উঠেছিলেন ‘ইশ! মেসি নিলেই পারতো!’

তবে গৌরব ভাগাভাগিতে নিঃস্বার্থই যদি না হবেন তাহলে তার নাম লিওনেল মেসি কেন? আর এমন তো নয় যে ওই গোল না হওয়ায় খুব বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে। ৬৭ ও ৭৪ মিনিটে দুই দুইটি গোল করে পিএসজিকে জয়ের পথ তো দেখিয়েছেন মেসিই। যার ফলে লাইপজিগের বিপক্ষে প্রায় হারের শঙ্কায় থাকা একটি ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে ৩-২ গোলে জিতে নিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।

এই ম্যাচে পিএসজির হয়ে খেলেন নি নেইমার। ম্যাচের ৯ মিনিটে দুর্দান্ত কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে লাইপজিগও ছেড়ে কথা বলেনি স্বাগতিকদের। ২৮ মিনিটে আন্দ্রে সিলভার গোলে ফেরে সমতা, দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে নরদি মুকিয়েলের গোলে ২-১ গোলে এগিয়েই যায় লাইপজিগ। উইংব্যাক এঞ্জেলিনো করেছেন জোড়া অ্যাসিস্ট।

৬৭ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে লিওনেল মেসি আনেন সমতা। ৭৪ মিনিটে পিএসজির আরেকটি সুযোগ আসে কিলিয়ান এমবাপ্পের কল্যাণেই। তাঁর গতির সাথে পেরে না উঠে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন লাইপজিগের মোহাম্মদ সিমাকান। পেনাল্টি পায় পিএসজি। চতুর পানেনকা শটে মেসি করেন নিজের দ্বিতীয় ও পিএসজির তৃতীয় গোলটি।

তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্র নিয়ে গ্রুপ ‘এ’ এর শীর্ষে আছে পিএসজি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যান্য ম্যাচে গ্রুপ ‘সি’ তে আয়াক্স ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। বেসিকতাস ঘরের মাঠে ৪-১ এ হেরেছে স্পোর্টিং সিপির কাছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply