fbpx

মেহেরপুরে বাড়ির চালে-চালে, চাল কুমড়ো

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এ এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য বাড়ির চালে চালে নজর কাড়ছে সাদা রংয়ের চাল কুমড়ো। কুমড়োর বড়ি চিনেন হয়তো অনেকেই, বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ এই  চাল কুমড়ো। এ কুমড়োর নাম চাল কুমড়ো হলো কেন? গ্রামবাংলায় ঘরের চালে গাছ উঠানো হয় বলেই এই কুমড়ো নাম পেয়েছে চাল কুমড়ো হিসেবে। তবে এটা জমিতে,মাচায়ও চাষ করা হয়। কচি ফল (জালি) তরকারি হিসেবে এবং পরিপক্ব ফল মোরব্বা ও হালুয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলগুলোতে কুমড়োর বড়ির ব্যবহার বেশি হলেও সবজি হিসেবে আমাদের দেশে চাল কুমড়ো জনপ্রিয়তা ব্যাপক। শুধু চাল কুমড়ো নয়, এর কচিপাতা ও ডগা শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। পেকে যাওয়া সাদা চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি, মোরব্বা ও হালুয়া তৈরি করা যায়।

বাজারে চাল কুমড়োর শুকনা মোরব্বাও পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে চাল কুমড়োর কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি চাল কুমড়ো-১ নামের জাতটি বাংলাদেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যায়। আমাদের দেশে একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন বারি চাল কুমড়ো-১ যা বার মাসই চাষ করা যায়। এছাড়াও রয়েছে হাইব্রিড চাল কুমড়ো সুফলা-১, হাইব্রিড চাল কুমড়ো বাসন্তী-নিরালা, হাইব্রিড চাল কুমড়ো বিজয় (উফশী-বিজয়), হাইব্রিড চাল কুমড়ো সোনালী এফ-১, হাইব্রিড চাল কুমড়ো মাধবী।

পুষ্টিবিদরা বলেন, চাল কুমড়ো একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে- চাল কুমড়োয় এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। চাল কুমড়াই বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ক্যালসিয়াম আছে।

চাল কুমড়োর বড়ি ও মোরব্বা ফুসফুসের জন্য উপকারী। চাল কুমড়োর বীজ কৃমি নাশ করে থাকে এবং এর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ রোগ ভাল হয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাল কুমড়ো চাষ করা যায়। তবে চাল কুমড়ো চাষের জন্য দো-আশ ও এটেল দো-আশ মাটি উত্তম।

Advertisement
Share.

Leave A Reply