fbpx

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ কমাতে কাজ করবে প্রতিযোগিতা কমিশন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখবে প্রতিযোগিতা কমিশন। পাশাপাশি তারা সার্ভিস চার্জ ও প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মোঃ মফিজুল ইসলাম।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন কর্তৃক ‘মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় বাজার প্রতিযোগিতা সৃষ্টিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিযোগিতা কমিশন আইন ২০১২ সালে হলেও আমরা কাজ শুরু করেছি ২০২০ সাল থেকে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় আমরা জানতাম দশটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা মাঠ পর্যায়ে সার্ভে করে দেখলাম যে, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান মোট বাজারের ৮০ শতাংশ দখল করে রেখেছে।‘

কমিশন দ্রুততার সাথে এই বিষয়ে কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্ভিস চার্জ যাতে জনগণের সাধ্য ও সামর্থের মধ্যে থাকে এ বিষয়টিও আমরা দেখবো। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় যেহেতু এ খাতে রেগুলেটরি তাই তাদেরকেই এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা দরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, আমরা শুধু নেটওয়ার্ক  ট্রান্সমিশন সেবা দিয়ে থাকি মোবাইল ব্যাংকিং খাতে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি করার সময় ১ জনের আইডি ব্যবহার করে অন্যজন সিম ব্যবহার করার কারণে কিছু অনিরাপত্তা এখনও রয়েছে। গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সার্ভিস চার্জ আরো কমিয়ে আনা যায় কিভাবে সে ব্যাপারে প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সকলকেই ভেবে দেখার আহ্বান জানান।

ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেন, ভারতে যদি ২৫ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা কোন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় সঙ্গে সঙ্গে ভারতের নাগরিকরা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশে গ্রাহকদের ভিতর সমন্বয় না থাকায় বিভিন্ন কোম্পানিগুলো ও বাজারে মনোপলি ও মোনাফার খোররা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে  থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি কোম্পানী কিভাবে একক আধিপত্ত বিস্তার করলো এবং উচ্চ মূল্যের সার্ভিস চার্জ আদায় করলো- এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কি তাও ভেবে দেখা দরকার।

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজির হোসাইন বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা দ্রুত ফিরিয়ে আনা না গেলে এর পরিণতি হবে ই-কমার্সের মতো। বাজারে দ্রুত আধিপত্ত বিস্তারকারী প্রতিষ্ঠানকে জবাব দিহিতার মধ্যে এনে সার্ভিস চার্জ কমিয়ে কিভাবে বাজারে প্রতিযোগিতা আনা যায় এবং ছোট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখা যায় এ ব্যাপারে প্রতিযোগিতা কমিশনকেই ভূমিকা পালন করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি ছিল প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণকে সুবিধা দিতে হলে সার্ভিস চার্জ কমিয়ে বাজার প্রতিযোগিতা সৃষ্টির বিকল্প নাই।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন করতে হলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনা ও বাজার প্রতিযোগিতা সৃষ্টির বিকল্প নাই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply