fbpx

মৌসুমি-জায়েদ, শত্রু থেকে বন্ধু!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কথায় আছে, রাজনীতি আর ভালোবাসায় নাকি কোন নিয়ম খাটে না। সেটাই আবার প্রমাণ করলেন জায়েদ খান-মৌসুমি। শত্রু থেকে তারা এখন বন্ধু, রাজনীতির মাঠে দোসর। কাধে কাধ মিলিয়ে চালাচ্ছেন প্রচারনা।

একটা সময় মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল জায়েদ-মৌসুমির। সেটাও এক নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, একে অন্যকে কাদা ছোড়াছুড়ি, বাদ যায়নি কোনটাই।

জল গড়িয়েছিল বহুদূর। বিভিন্ন টক শো, ইন্টারভিউতে জায়েদ-মৌসুমি একে অন্যকে দোষারোপ করে কথা কথা বলতে ছাড়েননি একচুলও। এমনকি, তখন ওমর সানিকে অস্বাভাবিক, মাথায় সমস্যা আছে, এ জাতীয় কথাও বলেছিলেন জায়েদ। মৌসুমীকেও ছোট করে কথা বলেছিলেন তিনি।

এমনকি মৌসুমীকে ঘিরে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন ওমর সানি-মিশা সওদাগরও। তবে সেসব এখন অতীত। সব তিক্ততা ভুলে তারা এখন একই লক্ষ্যে ধাবমান, আর তা হল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ।

মৌসুমীর বন্ধু হিসেবেই পরিচিত মিশা। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাবে বন্ধু কখন শত্রু আবার শত্রু কখন বন্ধু হয়ে যায়, বলা মুশকিল। তাইতো সব মান অভিমান ভুলে মিশার সাথেও সংহতি প্রকাশ করেছেন মৌসুমী।

জায়েদ-মিশাকে সমর্থন দিতে অন্যান্য শিল্পীদের সাথে মৌসুমীও প্রচারণার মাঠে সরব। গাইছেন জায়েদ খানের গুণকির্তন। নির্বাচন করার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছেন না। তবে মিশা-জায়েদ প্যানেলকে সমর্থন দিতে নিয়মিত আসছেন এফডিসিতে। শুধু তাইই নয়, প্রায় ৪ বছর পর মৌসুমী-জায়েদ ‘সোনার চর’ নামের একটি সিনেমায় একসাথে অভিনয় করেছেন। তবে, জায়েদ-মৌসুমির এক হওয়ার বিষয়টি সাধারণ মানুষ সহজভাবে নেয়নি।

অন্য প্যানেল থেকে সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লড়বেন অভিনেত্রী নিপুণ। এছাড়াও তাঁদের সাথে আছেন রিয়াজ, ফেরদৌস, ইমন, নিরবদের মত জনপ্রিয় শিল্পীরা।

দুই পক্ষের বাদ-বিবাদে গমগমে অবস্থা বিরাজ করছে এফডিসিতে, সবার মুখে মুখে ফিরছে নির্বাচনের গল্প। এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই বিশ্বাস সবার। তবে যেই জিতুক, তিনি যেন দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, শিল্পীদের মান উন্নয়নে কাজ করেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Advertisement
Share.

Leave A Reply